মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:২৫ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার মোহর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মৃত এনামুল হকের শিক্ষক সমিতির অনুদান, পেনশন ও কল্যাণট্রাস্টের অবসর কালীন ভাতা অন্য ওয়ারিশদের ফাঁকি দিয়ে উত্তোলনের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন মৃত ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী লাইলি বেগম।
এঘটনায় মৃত শিক্ষক এনামুল হকের বড় পুত্র সোহানুল হক পারভেজ বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, তানোর থানা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়াও সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারসহ বিভিন্ন দপ্তরে আজ ১১ এপ্রিল একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার মোহর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এনামুল হক চাকুরীরত অবস্থায় ১ স্ত্রী ২ কন্যা ও ২ পুত্র সন্তান রেখে গত ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল মৃত্যু বরণ করেন। এরপর রহস্যজনক কারণে মৃত শিক্ষক এনামুল হকের ব্যাংক হিসাব নাম্বারটি গোপনে বন্ধ করে দেন তার ছোট স্ত্রী লাইলি বেগম। পরে লাইলি বেগম তার নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ওয়ারিশদের ফাঁকি দিয়ে নিজের নামে একটি ব্যাংক হিসাব খুলেন যাহার নাম্বার- ৪৬২৩৫০১০২৪০৮১।
মৃত শিক্ষক এনামুল হকের কল্যাণ ভাতার টাকা ছোট স্ত্রীর নামীয় হিসাব নাম্বারে আসলে তা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই কল্যাণ ভাতার টাকা মৃত শিক্ষক এনামুল হকের লোন পরিশোধ করে সমন্নয় করেন।
বর্তমানে মৃত শিক্ষক এনামুল হকের অবসরকালীন ভাতা ৩০ লাখ টাকা ছোট স্ত্রী লাইলী বেগম আত্নসাতের উদ্দেশ্যে তার একক নামে খুলেন। বিষয়টি পারভেজ জানতে পেরে তা বন্ধের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।
এব্যাপারে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে বসে মৃত এনামুল হকের ঋণ পরিশোধ করে যে টাকা আসবে তা ওয়ারিশগণের মধ্যে ভাগবন্টন করার প্রতিশ্রুতি ও যৌথ একাউন্ট করার কথা থাকলেও তিনি গোপনে নিজ নামে ব্যাপাক একাউন্ট করেন। এতে সকল বিচারকগন সামনে সহি স্বাক্ষর করেন কিন্তু এখন তিনি নিঃস্বার্থে টাকা আত্মসাৎ পরিকল্পনা করছেন লাইলী বেগম।
এঅবস্থায় মৃত শিক্ষক এনামুল হকের অবসর কালীন ভাতার টাকা সকল ওয়ারিশগনের মধ্যে অংশ মোতাবেক বন্টন করা আবশ্যক। এহেন অবস্থায় বিষয়টি সমাধানের জন্য মৃত শিক্ষক এনামুল হকের বড় পুত্র তানোর থানা ও বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এবিষয়ে মৃত শিক্ষক এনামুল হকের ছোট স্ত্রী লাইলি বেগম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার নামে নোমিনী করা আছে। তাই অবসর কালীন ভাতার টাকা আমিই একাই পাবো, এখানে কারো কোন কিছু করার নেই বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করেন তিনি।
মৃত শিক্ষক এনামুল হকের বড় পুত্র সোহানুল হক পারভেজ বলেন, ওয়ারিশগনের মধ্য যেন অবসরকালীন ভাতার টাকা সুষ্ঠভাবে বন্টন করা হয়। তা না হলে মৃত এনামুল মাষ্টারের বাড়ি জব্দ করার জন্য তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এটি শিক্ষা অফিসার ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিষয়। আমি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি। তা/অ