বৃহস্পতিবর, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৫৩ am

সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহীতে বীজ সঙ্কটেও সারের দাম চড়া, চাষিদের মাথায় হাত রাজশাহীতে আ.লীগের কর্মীসহ ১৮ জন গ্রেপ্তার জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে রাজশাহীতে শিবিরের বিক্ষোভ আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন দুর্গাপুরে হত্যা চেষ্টা ও নাশকতা মামলার আসামিসহ আটক ৮ তানোরে দখল বাজিতে বিএমডির গভীর নলকূপে সেচ পাচ্ছে না কৃষক বিডিআর বিদ্রোহে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন তানোর থানার মোড়ে যানজট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন গোদাগাড়ীতে পদ্মানদীতে বালি উত্তোলন ও ড্রামট্রাক বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভা চাঁপাইয়ের কৃষি শ্রমিক তানোরে ধান কাটতে এসে বাড়ি ফিরলেন লাশ হয়ে চট্টগ্রামে আদালত এলাকায় বিক্ষুব্ধদের হামলায় আইনজীবী নিহত পেঁয়াজ-আলু রপ্তানি বন্ধ করল ভারত সাত মণ ধানে এক বস্তা ব্র্যাকের আলুবীজ, তাও অপেক্ষায় জুটছে কপালে তানোরে ব্র্যাকের আলুবীজ কালোবাজারে বিক্রি? জব্দে ইঁদুর বিড়াল খেলা আরএমপি পুলিশের অভিযানে আ.লীগের নেতাসহ ১২ জন গ্রেপ্তার দুর্গাপুরে থানা পুলিশের অভিযানে ১০ জন গ্রেফতার দীর্ঘ প্রতিক্ষায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন জামিনে বেরিয়ে আবারও গ্রেপ্তার রাজশাহী-৬ আসনে সাবেক এমপি রাহেনুল তানোর-গোদাগাড়ীতে শরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি
বাঘায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা করেন বাবা

বাঘায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা করেন বাবা

এম এম মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেড় যুগ পর রাজশাহীর বাঘার কিশোরী রেবেকা খাতুন (১৩) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রেবেকার বাবা আকসেদ আলী সিকদার নিজের মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছিলেন। তারপর প্রতিপক্ষের ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে আদালতে মামলার বিচারও চলছিল।
কিন্তু বিচার চলাকালে আদালতের মনে হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে তারা প্রকৃতপক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। পুনরায় তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করা প্রয়োজন। তাই আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি পুনঃতদন্ত করতে দিয়েছিলেন। পিবিআইয়ের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, অন্য কেউ নয়; প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রেবেকা খাতুনকে হত্যা করেছিলেন তার বাবা আকসেদ আলী সিকদার নিজেই।

আকসেদ আলী বাঘা উপজেলার লক্ষ্মীনগর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি মারা গেছেন। পিবিআইয়ের তদন্তের পর তার দুই স্ত্রী ভায়েলা বেওয়া (৬৫) ও আফিয়া বেওয়া (৬০) রোববার আদালতে হাজির হয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে তারা জানিয়েছেন, এতদিন স্বামীর ভয়ে তারা এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলতে পারেননি।

দীর্ঘ ১৮ বছর পর এ মামলার রহস্য উদঘাটন বিষয়ে মঙ্গলবার পিবিআইয়ের রাজশাহী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে সাংবাদিকদের এই মামলার বিস্তারিত জানান পিবিআই রাজশাহীর প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আযাদ। তিনি জানান, আকসেদ আলীর দুই স্ত্রীর মধ্যে আফিয়ার মেয়ে ছিল রেবেকা। ২০০৪ সালের জুন মাসে নিজ বাড়িতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ১৩ বছরের এই কিশোরীকে। এরপর আকসেদ আলী থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে দুই স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে বসেছিলেন আকসেদ। বাড়ির দিকে হঠাৎ ৫০-৬০ জনকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আসতে দেখে দুই স্ত্রী তাকে পালিয়ে যেতে বলেন। আকসেদ আলী পালিয়ে গেলে প্রতিপক্ষরা তার ১৩ বছরের কিশোরীকে কুপিয়ে হত্যা করে চলে যায়।

এই মামলায় প্রতিপক্ষ মোল্লা বংশের ২০ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ এবং পরে ডিবি পুলিশ তদন্ত করে। ডিবি পুলিশ ২০০৪ সালেরই ৩০ নভেম্বর ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর রাজশাহীর জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন আদালতে মামলার বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ দিন বিচার চলার পর আদালতের মনে হয় মামলার আসামিরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। এ মামলার পুনঃতদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

এরপর গত বছরের মে মাসে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন। রাজশাহী পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করেন।

প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্তে পিবিআই জানতে পারে, প্রতিপক্ষরা নয়, আকসেদ আলীই নিজের মেয়েকে হত্যা করেছিলেন। এরপর তার দুই স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা সবকিছুই স্বীকার করেন। তারা আদালতে বলেছেন, স্বামীর ভয়ে তারা এ নিয়ে মুখ খুলতে পারেননি।

পুলিশ কর্মকর্তা আবুল কালাম আযাদ বলেন, আদালতে এ মামলার পুরনো ডকেট পাওয়া যায়নি। পিবিআই নিজেদের মতো করেই তদন্ত করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে আকসেদ ছাড়া অন্য কেউ জড়িত ছিলেন সে রকম কোনো তথ্য পায়নি পিবিআই। আকসেদ আলী ২০১৯ সালে মারা যাওয়ায় মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা যাবে না। একটি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে। তারপর আদালত এই মামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। রা/অ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.