রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:২৪ am
আশরাফুল আলম, তানোর :
তাপপ্রবাহে পুড়ছে উত্তরাঞ্চল। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে। তীব্র গরম থেকে বাঁচতে ফল খেয়ে শরীর ঠান্ডা করছে মানুষ। গরমে তানোরে বেড়েছে বাঙ্গি, তরমুজ, লেবু, বেল ও ডাবের চাহিদা। গরম ও রমজানে এসব ফলের চাহিদা দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেড়ে গেছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে। এ কারণে রাজশাহীতে তাপমাত্রা বাড়ছে। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সোমবার (১০ এপ্রিল) রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে রোববার রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার রেকর্ড করা হয় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তানোরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, সবখানেই মৌসুমি ফল বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও কিছুটা বেড়েছে। ছোট আকারের তরমুজ প্রতি পিস ৮০-১০০ টাকা, মাঝারি ১৫০-২০০ টাকা এবং বড় তরমুজ ২৫০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের বাঙ্গি ৫০-৮০, মাঝারি ১০০-১৫০ ও বড় সাইজ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে। বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা কেজি দরে।
গরমের কারণে গত কয়েকদিনে লেবু ও বেলের শরবত এবং ডাবের চাহিদা বেড়ে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মৌসুমি শরবত ও ডাব ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা করতে দেখা গেছে।
তানোর থানার মোড়ে তরমুজ বিক্রি করছেন আব্দুল আলিম। তিনি বলেন, মাঝে শীত থাকার কারনে তরমুজের দাম কমেছিল। কিন্তু অনেকেই তখন কেনেননি। এখন আবার খরা চলছে। তাই মানুষ বেশি করে কিনছে। তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন সবমিলিয়ে ৫-৬মণ মাল বিক্রি করতাম। এখন ১০-১২ মণ বিক্রি করি। গরমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ফলেরও দাম বেড়েছে।
তানোর থানা ডাব বিক্রি করছেন সিরাজ প্রতি পিস ডাব৮০ -১০০টাকা দামে বিক্রি করতে দেখা যায় সিরাজ বলেন, গরমের কারণে মানুষ ইফতারি কম কিনে ডাব কিনছেন। প্রতিদিন গড়ে১০০ -১৫০ পিচ ডাব বিক্রি হচ্ছে। আগে যেখানে ৩০ থেকে ৪০টির মতো বিক্রি হতো। তা/অ