মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:২৩ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোর উপজেলা সরনজাই ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও যুবলীগ সভাপতি আব্দুল আলিমের উপর হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজ গ্রাম শুকদেবপুর থেকে মটরসাইকেল যোগে তানোর পৌর এলাকার আমশো গ্রামের বাড়ি ফেরার পথে এঘটনা ঘটে।
এঘটনায় ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম বাদি হয়ে শুকদেবপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের পুত্র মিঠু (৩০) কে আসামী করে তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, সরনজাই ইউপির শুকদেবপুর গ্রামের ৪ জন পার্টানার মিলে একটি মিনি মটর স্থাপন করেন এবং দেখভালের দায়িত্ব দেন আশরাফুল ইসলামকে।
মটরে মিসেব নিয়ে উভয়ের মধ্যে দন্দ্বের সৃষ্টি হলে বিষয়টি ইউপি সদস্য আব্দুল আলিমসহ গ্রামের মাতাব্বররা গ্রামে শালিস বসলে আশরাফুল ইসলাম ঠকে যায় এবং ৭২ হাজার টাকা দিতে হয়।
এরপর থেকে ইউপি সদস্য আলিমসহ মাতাব্বরদের সাথে শত্রুতা শুরু হয়। এরই জের ধরে গত রোববার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শুকদেবপুর থেকে ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম মটরসাইকের যোগে আমশো গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
এসময় মোহর গ্রামের ঘুড়াডুবি মোড়ে আসা মাত্রই আশরাফুলের পুত্র মিঠু ও তার দলবলসহ অপর মটরসাইকেল নিয়ে আলিমের গতিরোধের চেষ্টা করেন এবং তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে থামতে বলেন।
বিষয়টি বুঝতে পেরে আলিম না থেমে মোহর ঘুড়াডুবি মোড় থেকে পূর্বদিকে আমশো আসার রাস্তা দিয়ে জোরে মটরসাইকেল চালিয়ে আসতে থাকেন।
এসময় মিঠু আলিমের পিছু নিয়ে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে আমশো মথুরাপুর গ্রামে ঢুকতেই আনিস প্রফেসারের বাড়ির কাছে পেছন থেকে আলিমের পিঠে বাড়ি মারলে আলিম চিৎকার দিয়ে গাড়ি নিয়ে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
এসময় গ্রামের লোকজন সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যার উদ্দেশ্যে মিঠু তার লোকজন নিয়ে আমার উপর হামলার চেষ্টা করেন।
তিনি বলেন, আমি থানায় অভিযোগ করেছি। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে হামরাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলামের পুত্র মিঠুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ওই দিন রাতে গ্রামের একজনের বাড়িতে বিদ্যুতের কাজ করছিলাম। আমার উপর মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন আলিম মেম্বার।
এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, তদন্ত করে আলিমের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, মিঠু ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী ওইদিন ওই সময সে তারই গ্রামের একজনের বাড়িতে বিদ্যুৎ ম্যারামতের কাজ করছিলো। এটা সে স্বাক্ষী প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে মিঠু বলেন জানান ওসি। তা/অ