মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:২২ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী আঞ্চলিক কর অফিসে অভিযান চালিয়ে ঘুষের ১০ লক্ষ টাকাসহ উপ-কর পরিদর্শক মহিবুল ইসলাম ভূইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মহানগরীর কর অফিসে এই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহী বিভাগীয় অফিসের পরিচালক কামরুল আহসান।
অভিযানের সময় দুদকের কর্মকাতা ও কর অফিসের কর্মচারীদের মধ্যে মারধরের অভিযোগ উঠে। ঘটনার খবর পেয়ে রাজপাড়া থানা পুলিশ কর অফিসে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
কর অফিসের কর্মচারীরা জানান, আজ আমাদের অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরেদর ওয়ার্কশপ চলছিলো। এই সময় হটাৎ জানতে পারি উপ-কর পরিদর্শকের রুমে ঢুকে ভেতর থেকে ছিটকানি দিয়ে সাদা পোশাকে কয়েকজন উপ-কর পরিদর্শক মহিবুল ইসলাম ভূইয়াকে মারধর করছে। এই সময় মহিবুল ইসলাম ভূইয়া বাঁচাও বলে চিৎকার করলে অফিসের কর্মচারীরা দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে। পরে জানতে পারি দুদক অভিযান করছে। তবে এমন অভিযান অন্যায় বলে তারা দাবি করেন।
প্রায় ৪ ঘন্টা ব্যাপি দুদক অভিযান চালিয়ে উপ-কর-পরিদর্শক মহিবুল ইসলাম ভূইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ, বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার ও নগদ ১০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে দুদক।
কর অঞ্চল রাজশাহীর কর কমিশনার শাহ্ আলী বলেন, সুনির্দিষ্ট কি অভিযোগ তা বলতে পারবো না। তবে জানতে পেরেছি ডা: ফাতেমা সিদ্দিকার সম্পদের ২৬ কোটি টাকার কর ফাঁকির একটি ফাইল ছিলো। সেটি নিয়ে কাজ করছিলেন উপ-কর পরিদর্শক।
গ্রেপ্তারের পর উপ-কর পরিদর্শক মহিবুল ইসলাম ভূইয়াকে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি অফিসের বাইরে ছিলাম তখন ডা: ফাতেমা সিদ্দিকা অফিসে ঢুকে টাকাগুলো ড্রয়ারে রাখছে। এই সময় দুদকের লোকজন আমাকে ধস্তাধস্তি করে রুমে ঢুকিয়ে দরজা আটকিয়ে আমাকে মারধর করে। পরে দরজা খোলা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ ছিলো ডা: আয়েশা সিদ্দিকার সম্পদের উচ্চমূল্যে কর নির্ধারণ করার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এক পর্যায়ে কর অঞ্চলের উপ-কর-পরিদর্শক মহিবুল ইষলাম ভূইয়া ৬০ লক্ষ টাকা দাবি করে। সর্বশেষ ডা: আয়েশা সিদ্দিকার সাথে ৫০ লক্ষ টাকায় রফাদফা হয়। সেই রফাদফার প্রথম কিস্তির আজ ১০ লক্ষ টাকা দিতে গিলে আমরা হাতে নাতে গ্রেপ্তার করি। রা/অ