মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৩৩ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোরে রহমান গ্রুপের রহমান হিমাগার-২ এর গরুর খামারের বর্জ্যয় ও দূষন সন্ত্রাসে অতিষ্ঠ এবং চাষী কৃষকরা আতংকিত হয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুধু চাষী কৃষকরা না পথচারীরাও বর্জ্যর দূর্গন্ধে চরম অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। বর্জ্যর কারনে গত মৌসুমে হিমাগারে রাখা আলুও নষ্ট হয়েছিল। তারপরও ঘুম ভাংছেনা কর্তৃপক্ষের।
এমনকি প্রাণী সম্পদ থেকে প্রত্যায়ন নেননি রহমান হিমাগার-২ এর মালিক ফজলুর রহমান। এতে রহমান হিমাগারের বে রহমানীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন পথচারীরা।
ফলে দ্রুত খামার বন্ধ করে বর্জ্য থেকে মুক্তি চায় জনসাধারন। এসব নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও টনক নড়ছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা গেছে, তানোর টু মুন্ডুমালা রাস্তার আড়াদিঘি মোড়ের পূর্বদিকে মুল সড়কের উত্তরে কৃষি ফসলী জমিতে রহমান ব্রাদার্স পটেটো – ২ নামের হিমাগার গড়ে উঠেছে। প্রায় দু বছর ধরে হিমাগারের ভিতরে গড়ে তোলা হয়েছে গরুর খামার।
খামারের বর্জ্য রাস্তার নয়নজুলি দিয়ে চলে যাচ্ছে ফসলী জমিতে। এদিকে রাস্তার ধার দিয়ে বর্জ্য যাওয়ার কারনে দূর্গন্ধে নাজপহাল হয়ে পড়েন পথচারীরা।
অটোরিক্সা চালক আমির, ইসলাম, ওহাব সহ অনেকে জানান, হিমাগারের কাছে আসামাত্রই বর্জ্যার চরম গন্ধে নাকে কাপড় দিয়ে পার হতে হয়।
মহিলা শিশু যাত্রীরা গন্ধ সহ্য করতে না পেরে অনেকে বমন করে ফেলে। হিমাগার সংরক্ষিত প্রতিষ্ঠান সেখানে কিভাবে গরুর খামার হয় এবং প্রকাশ্যে দিনরাত সাদা মোটা পাইপের মাধ্যম দিয়ে বর্জ্যা বের হতেই থাকে।
মুল সড়ক দিয়ে প্রশাসনের লোকজন চলাচল করলেও কোন ব্যবস্থা নেয় না। তারা শিল্পপতি তাদের জন্য সব ওকে। এটাই কোন সাধারন মানুষের খামার দিয়ে বর্জ্যা বের হলে জেল জরিমানা হত কিংবা বন্ধ হয়ে যেত।
হিমাগারের লোকজনদের ময়লা গন্ধ বিষয়ে কথা বললেই মারতে তেড়ে আসে।
আলু রাখা একাধিক কৃষকরা জানান, গত মৌসুমে হিমাগারটিতে আলু পচে ব্যাপক হারে। বিদ্যুৎ গ্যাসের জন্য পচেছে বলে হিমাগার দায় সারেন।
আলু পচার অন্যতম কারন গরুর খামার ও বর্জ্যার দূর্গন্ধের কারনও রয়েছে। দেশে এত হিমাগার আছে কোথাও গরুর খামার এভাবে নাই। আমরা বলার পরও কর্নপাত করেন না কর্তৃপক্ষ।
বিশেষ করে যারা আলু রাখে তারা সবাই জিম্মি হিমাগারের কাছে। মুলত এজন্য সব সহ্য করতে হয়। হিমাগারে গরুর খামার করতে হলে প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে প্রত্যায়ন নিতে হয়।
রহমান হিমাগার-২ এর দায়িত্বে থাকা আব্দুল হালিম জানান, সব অনুমতি নিয়ে খামার করা হয়েছে। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: সুমন মিয়া জানান, আমার জানা মতে তারা প্রত্যায়ন পত্র নেননি।
প্রত্যায়ন ছাড়া হিমাগারে গরুর খামার করতে পারবেনা। আমি নতুন এসেছি দ্রুত অভিযান দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন জানান, ঘটনা এর আগেও শুনেছি, অল্প সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আমি কাজে শহরে আছি রাতে না হলেও মঙ্গলবারে যে কোন সময় অভিযান দিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তা/অ