রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:১৭ am
এম এম মামুন :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়েই চলছে ইটভাটা। এ সব ভাটায় ইট প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে তিন ফসলি জমি। আর ইট পোড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে জ্বালানি হিসেবে কাঠ। সত্ত্বাধিকারীরা আরও এক ধাপ এগিয়ে ইটভাটার ভিতরে বসিয়েছে ভ্রাম্যমাণ স’ মিল।
সেখানে বড় বড় গাছের গুড়ি চিরে ফেলা হচ্ছে ভাটায়। মোহনপুর উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের ঝালপুকুর আদিবাসী পাড়ার পাশে তিন ফসলি জমিতে অবস্থিত ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ স’ মিলের এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী ইট পোড়াতে কোন জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করা যাবে না। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব ইটভাটা স্থাপন করার কথা থাকলেও সনাতন পদ্ধতিতেই এখনো ইট প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ইটভাটায় ঘুরে দেখা গেছে, ইট পোড়াতে বড় বড় গাছের গুড়ি জড়ো করা হয়েছে। ভাটায় কর্মরত এক শ্রমিক বলেন, প্রতি চার লাখ ইট প্রস্তুত করতে ২০ থেকে ২২ দিন সময় লাগে। এতে প্রায় ৩৫ হাজার মণ কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আগে দূর থেকে কাঠ চিরে আনা হতো। এতে সময় এবং অর্থ বেশি ব্যয় হতো। যে কারণে ভাটার মালিক নিজেই এক করাত বিশিষ্ট স’মিল স্থাপন করেছেন।
এবিষয়ে ইটভাটার মালিক মো.আজিজুল হক বলেন, তার ভাটার সব কাগজপত্র ঠিক নেই। তবে, সবাই যেভাবে চলছেন তিনিও সেভাবেই চালাছেন। তিনি আরও বলেন, মোহনপুর উপজেলার অনেক ইটভাটা রয়েছে। অধিকাংশ ইটভাটায় কাঠ পুড়িয়ে ইট প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করায় ফসলসহ মৌসুমি ফলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ফসল ও মৌসুমি ফল রক্ষার জন্য অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এবিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোসা. সাবিহা ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে ওই ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রা/অ