মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৩৪ am
সোহানুল হক পারভেজ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোরে শিবনদীর উপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে ঠিকাদারের ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। এতে বিশেষ করে তানোর ও মোহনপুর এই দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের চরম দূর্ভোগ নেমে এসেছে। ফলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তানোর পৌরসদরের গোল্লাপাড়া ও মোহনপুর উপজেলার সইপাড়া রাস্তার দু’পাশে শিবনদীর ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। মাত্র ২০০ মিটারের সংস্কার কাজ প্রায় ৩ মাস যাবৎ চলে। এরপরও মাঝপথে আটকে আছে। মানুষের যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না করেই প্রায় তিন মাস ধরে বালি ফেলে রাখা হয়েছে। এসব বালিতে পানি না দেয়ায় সেটা এখন বালির চরে রুপ নিয়েছে। এতে দুই উপজেলার কয়েকটি ইউপির প্রায় লক্ষাধিক মানুষের দূর্ভোগ চরমে উঠেছে।
স্থানীয় জানান, বিশেষ করে কৃষকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। মাত্র ২০০ মিটার সংযোগ সড়কের কাজ মাঝপথে আটকে থাকায় এ দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে পাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
এনিয়ে মোহনপুর উপজেলার ঘাষিগ্রাম ইউপির আতানারায়নপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের ও আব্দুল আলিম বলেন, মাত্র ২০০ মিটার রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় তাদের ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে আলু নিয়ে তানোর ও মোহনপুরের বিভিন্ন ক্লোডস্টোরে যেতে হচ্ছে। এতে তাদের কায়িকশ্রমের পাশাপাশি বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। তারা বলেন, ঠিকাদার আব্দুর রশিদের খামখেয়ালির কারণে তাদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা আরও বলছেন, এই সেতুর পর কাজ শুরু করে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও বঙ্গবন্ধু ট্যানেলের মতো মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও এই সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হচ্ছে না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার আব্দুর রশিদ বলেন, মানুষের দূর্ভোগ হলে তিনি কি করবেন। মাটির কারণে প্রতিবছর সংযোগ সড়ক ভেঙে যায় বলে গেছেন তিনি।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, সিডিউল অনুযায়ী কাজ করে নেওয়া হচ্ছে। কোন অনিয়ম হয়নি। অতীতের চেয়ে যে প্লানে টিকসই সড়ক হবে সে অনুযায়ী কাজ চলছে। আগামী জুনের আগেই শেষ হবে।
পানি দেবার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, পানি অবশ্যই দিতে হবে। তা না হলে ধুলা বালি উড়ে মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি হবে বলে জানান এই প্রকৌশলী। তা/অ