বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৫২ pm
ডেস্ক রির্পোট :
মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিবাদীরা সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবে যেন কোনো কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করতে না পারে সেই মর্মে আহ্বায়ক কমিটি, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার সকালে সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সুলতান উদ্দিন প্রধান এ আদেশ দেন।
এর আগে জেলা প্রেস ক্লাবের নতুন অন্তর্ভুক্ত বৈধ ১৯ জন সদস্যকে বাদ দিয়ে অগঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করলে মঙ্গলবার দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি জেহাদুল ইসলাম গং একটি মামলা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম রাখাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাদীপক্ষের ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রেস ক্লাবে কোনো কার্যনির্বাহী কমিটি যেন গঠন করতে না পারে সেজন্য সব বিবাদীদের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে গত বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করা হয়। তবে বিবাদীপক্ষ এক দরখাস্ত দিয়ে সময়ের প্রার্থনা করলে নির্বাচনি কার্যক্রমের ওপর স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নতুন অন্তর্ভুক্ত ১৯ জন সদস্য দীর্ঘদিন ধরে দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। পেশাদার সাংবাদিক হওয়া সত্ত্বেও প্রেস ক্লাবের একটি চক্রের কারণে তারা বারবার সদস্য পদের আবেদন করেও কোনো ফল পাননি। তবে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি নতুন সদস্য নেওয়ার জন্য সার্চ কমিটি গঠন করে। সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ১৯ জনকে সদস্যপদ প্রদান করে কমিটি। এরপর ওই চক্রটি নানা ষড়যন্ত্র ও বিরোধিতা করে বৈধভাবে নেওয়া ১৯ সদস্যকে বাদ দিয়ে অবৈধভাবে একটি বৈঠক করে আহবায়ক কমিটি গঠন করে। শুধু তাই নয়, বৈধভাবে নেওয়া ১৯ সদস্যকে বাদ দিয়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং নির্বাচন কমিশন ও ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আগামী ২৩ মার্চ পাতানো নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছেন।
এ ব্যাপারে জেহাদুল ইসলাম বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী চক্র জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের একমাত্র প্রিয় সংগঠন সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবকে কুক্ষিগত করে রাখতে চায়। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন ১৯ জন সদস্যকে বাদ দিয়ে চক্রটি অগঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পাতানো নির্বাচনের পাঁয়তারা করছিলেন। এ নিয়ে বারবার কথা বলেও কোনো কাজ হয়নি। তাই আমরা সঠিক বিচারের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হই। সূত্র : যুগান্তর