বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৫০ pm
এম এম মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দোকান বাঁকির সম্পূর্ণ টাকা চাওয়ায় সাংবাদিক ফজলুর রহমান (২৮) কে ধারালো কাঁচির আঘাতে রক্তাক্ত জখমে গরুত্বর আহত করার অভিযোগ উঠেছে আবু রাসেল স্বপন তার বাবা আকরাম হোসেন পিন্টু ও চাচা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বর্তমানে সাংবাদিক ফজলু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত ফজলুর রহমান স্থানীয় বাগাতিপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এবং দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও লক্ষ্মণহাটি মহল্লার আব্দুস সামাদের ছেলে।
শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় উপজেলার বড়পুকুরিয়া রেলগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন ফজলুর চাচা মোস্তফা কামাল।
আহত সাংবাদিক ফজলুর রহমান জানান, তার চাচা পৌরসভার পেড়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত রহমতুল্লাহর ছেলে মোস্তফা কামাল এবং একই উপজেলার কোয়ালিপাড়া গ্রামের মৃত আফতান সরকারের ছেলে আকরাম হোসেন পিন্টু উভয়েই ঔষধ ব্যবসায়ী। ব্যবসার কারনে তার চাচার দোকান থেকে ঔষধ ক্রয়ের সূত্র ধরে আকরাম হোসেন পিন্টুর ২৮ হাজার ২১০ টাকা বাঁকি ছিল। হালখাতায় বকেয়ার টাকা পরিশোধ না করায় বিষয়টি নিয়ে কথা হলে শনিবার বড়পুকুরিয়া রেলগেট এলাকার পিন্টুর ভেটেরিনারি ঔষধের দোকানে যেতে বলেন পিন্টু। সেখানে গেলে পিন্টু ৫ হাজার টাকা বাঁকি থাকার দাবি করলে চাচা মোস্তফা কামাল এবং পিন্টুর মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে চাচার ওপর চড়াও হলে সাথে থাকা সাংবাদিক ফজলুর রহমান এর প্রতিবাদ করে সম্পূর্ণ বাঁকি টাকা পরিশোধের কথা বলেন। এসময় পিন্টুর ভাই নজরুল ইসলাম এলোপাতাড়িভাবে তাদের মারপিট করে এবং ছেলে আবু রাসেল স্বপন পেছন থেকে ধারালো কাঁচি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে সাংবাদিক ফজলুর রহমানের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে গুরুত্বর আহত করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই রাতেই তার চাচা মোস্তফা কামাল বাদি হয়ে পিন্টু ও তার ছেলে স্বপনকে অভিযুক্ত করে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও এশিয়ান টিভির নাটোর প্রতিনিধি আব্দুল মিজিদ বলেন, একজন সাংবাদিককে এভাবে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করছি।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সেটি গুরুত্বের সাথে দেখে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রা/অ