শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:০৩ pm
ক্রীড়া ডেস্ক :
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অবদান এবং তাদের ভূমিকার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশে আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর প্রতি বৈষম্য ও বিদ্বেষমূলক মনোভাব দূর করতে এদিন সর্বস্তরের মানুষের প্রতি নতুন করে আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররাও। নারীদের চলার পথের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে তারা ‘সমাজে সমতায়ন প্রতিষ্ঠার’ বার্তা দিয়েছেন।
নারী দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যেতি। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘সমাজ অনেক সময় নির্ধারণ করে দেয় কোন কাজটা ছেলেদের, আর কোনটা মেয়েদের। যা তাদের একটি গণ্ডির ভেতর আটকে রাখার চেষ্টা। কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে নারীদের কোণঠাসা করে না রেখে, তাদের পছন্দের ক্যারিয়ারের পথটাকে সহজ করে দিতে হবে। যেন সে স্বপ্ন পূরণের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। তাই সমান অধিকারই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন সমতায়নের। সবাইকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা।’
সমাজ অনেক সময় নির্ধারণ করে দেয় কোন কাজটা ছেলেদের, আর কোনটা মেয়েদের। যা তাদের একটি গণ্ডির ভেতর আটকে রাখার চেষ্টা। কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে নারীদের কোণঠাসা করে না রেখে, তাদের পছন্দের ক্যারিয়ারের পথটাকে সহজ করে দিতে হবে। যেন সে স্বপ্ন পূরণের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
নারী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছেন জাতীয় দলের পেসার জাহানারা আলম। নারীদের প্রতি বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলছেন, ‘আমরা নারীরা আজ প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছি। পথ অতটা সহজ ছিল না। প্রত্যেকের সফলতার পেছনে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সংগ্রামের গল্প। তবে, সমাজ থেকে এখনও বৈষম্য দূর হয়নি। নারীর অগ্রযাত্রা নিশ্চিতে এবং সমতার সমাজ গড়তে সমতায়ন আনতে হবে।’
নারীদের প্রাপ্য সম্মান ও অধিকার নিশ্চিতের কথা উল্লেখ করে জাতীয় দলের পেসার মারুফা আক্তার বলেন, ‘নারীরা প্রাপ্য সম্মানটুকু পেতে চায়। ঘরে, ঘরের বাইরে, পরিবারে কিংবা কর্মস্থলে শুধু সমঅধিকারই যথেষ্ট নয়, সব ক্ষেত্রে নারীর প্রাপ্য সম্মান ও অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। তাহলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পূর্ণতা পাবে।’
অনুর্ধ্ব-১৯ নারী দলের অধিনায়ক দিশা বিশ্বাস চান, নারীর প্রতি সমাজের কুসংস্কার ও নিচু দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে। তার মতে, ‘আজ নারীদের সফলতার পথে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো কুসংস্কার ও সমাজভীরু দৃষ্টিভঙ্গি। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে নারীদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। ছিনিয়ে আনতে হচ্ছে বিজয়। সমাজে সমতায়ন প্রতিষ্ঠিত হোক— এই প্রত্যাশায় সবাইকে জানাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা।’
আজ নারীদের সফলতার পথে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো কুসংস্কার ও সমাজভীরু দৃষ্টিভঙ্গি। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে নারীদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। ছিনিয়ে আনতে হচ্ছে বিজয়।
সমতায়ন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে নারীর চলার পথ মসৃণ হবে বলে মনে করেন অনুর্ধ্ব-১৯ নারী দলের আরেক ক্রিকেটার স্বর্না আক্তার। বলেন, ‘পথে-ঘাটে, গণপরিবহনে, কর্মক্ষেত্রে, এমনকি ঘরের নারীরাও এখন অনিরাপদ। বন্ধ হয়নি নারীর প্রতি নির্যাতন। এত সব বাধার পরও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে। আমাদের এগিয়ে চলার পথ মসৃণ করতে প্রয়োজন সমতায়ন। এই আশা ব্যক্ত করে সবাইকে জানাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা।’ রা/অ