মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৫৪ am
এম এম মামুন :
রাজশাহীতে এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর মুক্তিপণ নিতে এসে একটি প্রাইভেট কারসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তিন অপহরণকারী। সোমবার (৬ মার্চ) রাতে রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে, রোববার (৫ মার্চ) দিনগত গভীর রাতে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার সাগরপাড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীরা হচ্ছে, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কুড়ালতলা গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫), খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার কমিশনার গলি নবপল্লীর মৃত সাহেব আলীর ছেলে জাহিদ হাসান (৩৫) ও রাজধানীর পল্লবী থানার মিরপুর দুয়ারীপাড়ার মৃত নাসিরুদ্দীন মন্ডলের ছেলে মনোয়ার হোসেন (৬০)।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মার্চ নগরীর বোয়ালিয়া থানার সাগরপাড়া এলাকার মাসুদ আলী নামের এক ব্যক্তি জমি-জমা সংক্রান্ত কাজে ঢাকায় যান। তিনি ৫ মার্চ দিবাগত সাড়ে ১২টার দিকে তার ছেলেকে মোবাইলে ফোনে জানান, এক ব্যক্তিকে আলমারীর চাবিসহ পাঠাচ্ছি, তাকে যেন চেক বহিটা দিয়ে দেয়। তার ছেলে মিনহাজ এর কারণ জানতে চাইলে কোন কথা না বলে মোবাইল ফোন রেখে দেন।
মাসুদের ছেলের কাছে বিষয়টি সন্দেহ হয় এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিষয়টি জানান। পরে রাত আড়াইটার দিকে তিন ব্যক্তি একটি প্রাইভেট কার নিয়ে মাসুদের বাড়ির সামনে এসে তার ছেলের মোবাইল ফোনে জানায় তারা চেক বহি নিতে এসেছে। তখন মাসুদের ছেলে মিনহাজ আলী বিষয়টি বোয়ালিয়া থানা পুলিশকে সংবাদ দেন।
রফিকুল আলম জানান, খবর পেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেনের নির্দেশে থানা পুলিশের একটি টিম তাৎক্ষণিক সাগরপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে আসামি মেহেদী হাসান, জাহিদ হাসান ও মনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আরএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) আরেফিন জুয়েলের নির্দেশে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নূরে আলমের তত্ত্বাবধানে বোয়ালিয়া থানার ওসির নেতৃত্বে একটি টিম অবহৃত মাসুদকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন এবং আসামিদের জিজ্ঞসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, তারা তাদের সহযোগীদের সহযোগিতায় মাসুদকে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত বাড়িতে আটক করে রেখেছে। দশ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ পেলে মাসুদকে ছেড়ে দিতো। টাকা না দিলে মাসুদকে প্রাণে মেরে ফেলার কথাও জানায়। আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। দীর্ঘদিন যাবৎ নিরীহ মানুষকে আটক রেখে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল বলেও স্বীকার করেন তারা।
অবশেষে সোমবার সন্ধ্যায় আসামিদের দেওয়া তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রামপুরা থানা পুলিশের সহায়তায় অপহৃত ভিকটিম মাসুদকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রা/অ