মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:০৩ am
ডেস্ক রির্পোট :
দেড় বছর আগে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ এনে মামলাটি করেন সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসেন। এ মামলার তদন্ত শেষে নুরকে পলাতক দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। ভিপি নুরের বিরুদ্ধে হওয়া ২০টি মামলার মধ্যে প্রথম কোনও মামলার চার্জশিট এটি।
মামলার চার্জশিটে বলা হয়েছে, আসামি নুর ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে আসেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, মানহানিকর, উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন, যার মাধ্যমে তিনি ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করেন। তিনি দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলার অবনতি, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও শ্রেণির মধ্যে শত্রুতা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করাসহ অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮-এর ২৫/২৮/২৯/৩১ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে ৩৫ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়নি। নুর পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল নুরের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল নুরুল হক তার ফেসবুক পেজ থেকে বক্তব্য দেন। এর মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করেন। তার বক্তব্য ছিল আপত্তিকর ও আক্রমণাত্মক। বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলার অবনতি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সাবেক ভিপি নুরের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮-এর ২৫/২৮/২৯/৩১ ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। সাক্ষীরা আদালতে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করবেন।’
মামলার বাদী ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘ভিপি নুর আওয়ামী লীগকে হেয়প্রতিপন্ন করে বক্তব্য দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক হিসেবে আমি মামলা করেছিলাম। তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সতত্যা পেয়েছে পুলিশ। এ মামলার বিচার দ্রুত শেষ হোক। তার শাস্তি হোক সেই প্রত্যাশা করছি।’
এ বিষয়ে নুর বলেন, ‘এসব মামলা ভিত্তিহীন। বিরোধী দলকে দমনের অস্ত্র হিসেবে মামলা দিয়েছে সরকার। হয়রানিমূলক মামলা আইনগতভাবে মোকাবিলা করবো। প্রকৃত অপরাধী হলে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জরি করলে কী হয় তখন দেখা যাবে।’
পলাতক থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশেই আছি। নিয়মিত মিছিল-মিটিং করছি। আমাকে পলাতক দেখিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। এ মামলার অভিযোগ গঠনের আগেই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।’ সূত্র : বাংলাট্রিবিউন