রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৪৬ am
শহিদুল ইসলাম (নিজস্ব প্রতিবেদক) নাচোল :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বেশি লাভজনক হওয়ায় আমন-বোরো ধানের মধ্যবর্তী সময়ে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর আশানুরূপ ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। সেচ বিহীন সরিষা চাষে উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন মাঠে কৃষকরা আমন ধান কাটার পরপরই সরিষার আবাদ করেছেন।
কৃষি অফিসার বুলবুল আহমেদ বলেন, সরিষা আবাদ করে নিজেরা তেল উৎপাদন করে তেলের চাহিদা মেটান এ স্লোগানটি কৃষকরা গ্রহণ করেছেন। এ কারণে এ বছর উপজেলায় সরিষার আবাদ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরিষার আবাদ বৃদ্ধির জন্য বিনামূল্যে কৃষকদের সার বীজ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। আমরা সরকারি প্রণোদনা দেয়ার পাশাপাশি কৃষকদের সরিষা আবাদে উদ্বুদ্ধ করেছি। ফলে এই বছর মাঠের যে অবস্থা দেখতে পাচ্ছি তাতে আশানুরূপ সরিষার ফলন হবে।
এ বছর সাড়ে আট হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে সরিষা উত্তোলন শেষ পর্যায়ে। হেক্টর প্রতি ১.৫ মেট্রিক টন গড় ফলন হচ্ছে। এবারে সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন সরিষার ফলন হবে বলে আশা করছি।
উপজেলার মাধবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক আমন মৌসুমে বিগত বছর গুলোই তিন বিঘা জমিতে ব্রি- ৪৯ জাতের ধান চাষ করতেন। এর মাঝে কিছু সময় জমি পতিত থাকতো। কিন্তু এ বছর তিনি ব্রি- ৭৫ ধানের আবাদ করেন। ব্রি -৪৯ এর চেয়ে এ জাতের ধানের ফলন আগেই পাওয়া মধ্যবর্তী সময়ে করেন বারি-১৪ জাতের সরিষা আবাদ।
এতে আমনে বেশি ফলন পাওয়ার পাশাপাশি সরিষার চাষের কারণে আর্থিকভাবেও তিনি লাভবান হয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে আমনের স্বল্পকালীন জাত পরিবর্তনের ফলে মাঝের এ সময়ে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
কৃষক আব্দুল গাফফার, আব্দুস সালাম বলেন, সরকারিভাবে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে তবে সময় মতো বীজ ও সার পাওয়া গেলে আমরা উপকৃত হব। রা/অ