রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৩৬ am
এম এম মামুন :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে অবাধে চলছে চুরি হওয়া ও ভারত থেকে চোরাই পথে আসা অবৈধ মোবাইল ফোনের রমরমা বাণিজ্য। নির্দিষ্ট দোকান ও শোরুম থেকে এসব মোবাইল ফোন ক্রয় করে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা।
ভারতীয় সীমান্তর্বতী এলাকা শিবগঞ্জ থেকে সহজেই অবৈধ পথে এসব মোবাইল ফোন দেশে নিয়ে আসছে চোরাকারবারীরা। বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি হওয়া ও চোরাই পথে আসা এসব মোবাইল সেট বিক্রি করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও নামী-দামী কোম্পানীর এসব মোবাইল ফোন বিক্রিতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। স্থানীয় প্রশাসন কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এসব মোবাইল সেট বিক্রির পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে বেশ কিছু ব্যক্তি নাম মাত্র মোবাইল ফোনের দোকানের পাশাপাশি ফোন সার্ভিসের আড়ালে চুরি হওয়া ও চোরাই পথে আসা নামিদামি ব্রান্ডের মোবাইল ফোন অবাধে বিক্রি হচ্ছে। কিছু দিন আগে চাঁপাইনবয়াবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জে এক ব্যক্তি মোবাইল ফোন চুরি হয়। তিনি শিবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রী করেন। কিন্তু ওই চুরি মোবাইল ফোনটি সোমবার মোহনপুর উপজেলার বাকশৈল গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে হৃদয়ের কাছে থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
হৃদয় জানান, ফোনটি কেশরহাটের আর আর টি মোবাইল ফোন শোরুম গোলাম রাব্বানী কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা ক্রয় করেন। আমাকে ফোন ক্রয়ের রশিদ দিয়েছে। সোমবার মোহনপুর থানা পুলিশ এসে আমার কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে গিয়েছে।
তবে পুলিশ কাউকে আইনের আওতায় না নিয়ে শুধুমাত্র মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। ঘটনাটি প্রকাশ শুরু হয় আলোচনার ঝড়। বিষয়টি ধাপাচাপা দেওয়ার জন্য মড়িয়া হয়ে উঠে গোলাম রাব্বানীসহ তার লোকজন।
অভিযুক্ত গোলাম রাব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি চোরাই মোবাইল ফোন ক্রয় বিক্রয়ের কথা শিকার করে বলেন, “যেন ফোনটি নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল, ফোনটি মোহনপুর থানা পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। এরপর হৃদয়ের সাথে টাকা ফেরত দিয়ে মিমাংসা হয়েছি।”
মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহা: সেলিম বাদশাহ বলেন, একটি চুরি হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে চোরাই মোবাইল সেট বিক্রয়কারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। রা/অ