রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:০৩ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ ব্যাণিজ্য ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে কমিটির ১০ সদস্যর মধ্যে সাত সদস্য অনাস্থা এনে অধ্যক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেশরহাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যাক্ষ মো. গিয়াস উদ্দিন।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম এক টানা দুই বার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হন। সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ক্ষমতার দাপটে প্রথমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তৃতীয় শ্রেণির ৬ শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করেন। এরপর চতুর্থ শ্রেণির পাঁচজন কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। শুধুমাত্র তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের যথসামান্য টাকা কলেজ ফান্ডে জমা দিয়ে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাত করেন। বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষসহ কমিটির সদস্যরা প্রতিবাদ করলে গত নভেম্বর মাসের শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বিলে সভাপতি স্বাক্ষর না করায় বেতন বন্ধ হয়ে যায়।
কেশরহাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ ব্যাণিজ্য ও অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় গত নভেম্বর মাসের শিক্ষক-কর্মচারী বেতন বিলে সভাপতি স্বাক্ষর না করায় বেতন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তার কথা মতে কলেজের সৃষ্টপদে উদ্ভিদবিদ্যা ও প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে একজন করে ল্যাব সহকারী এবং শূন্য পদে একজন নিরাপত্তাকর্মী ও একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের জন্য পত্রিকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া পর বন্ধ বেতনে স্বাক্ষর করেন তিনি।
কিন্তু গভর্নিং বডির সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আবারও উক্ত নিয়োগ গুলো নিজের মত করে প্রক্রিয়া করতে থাকেন। বিষয় গভর্নিং বডির সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করা হলে তারা বলেন, নিয়োগ দিয়ে যদি কোন অর্থ আসে, সেটি কলেজ ফান্ডে জমা দিতে হবে। কিন্তু সভাপতি তাতে রাজি না হওয়া নিয়োগ পক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। এর কারণে আবারও গত জানুয়ারী মাসের বেতন বিলে স্বাক্ষর না করায় বর্তমানে বেতন বন্ধ রয়েছে।
পদত্যাগ করা কয়েকজন গভর্নিং বডির সদস্যর সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্যর আপন ভগ্নীপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়া ক্ষমতার দাপটে একের পর এক নিয়োগ ব্যাণিজ্য করে অর্থ কলেজ ফান্ডে জমা দিয়ে নিজেই সম্পূর্ণ আত্মসাত করেন। তাই আমরা এক সাথে সাত সদস্য পদত্যাগপত্র কলেজের অধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়েছি। বর্তমানে কমিটিতে সভাপতি/ সদস্য সচিব অধ্যক্ষ ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহীদ রয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কেশরহাট ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম বলেন,”নিউজ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন বক্তব্য দেওয়া যাবে না। তবে অন্য কোন কথা থাকলে বলতে পারেন।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, “এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। রা/অ