মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৪৭ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার ময়েনপুর মৌজায় অবস্থিত বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ অপারেটরের দৌরাত্ম্যে স্থানীয় কৃষকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এঘটনায় সম্প্রতি গত ১৩ ফেব্রুয়ারী সোমবার অপারেটরের অপসারণ ও স্কীমভুক্ত কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে নতুন অপারেটর নিয়োগের দাবিতে বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ও নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে স্থানীয়রা জানান, ময়েনপুর মহল্লার মৃত আবুল হোসেনের পুত্র আনারুল ইসলাম অপারেটর হবার পর থেকে কৃষকদের হয়রানী ও দূর্ভোগ বেড়েছে। ক্ষমতাসীন দলের দাপট দেখিয়ে ড্রেন মেরামত, লাইনম্যান ভাতা, ট্রান্সফরমার মেরামত, ভোল্টেজ বাড়ানো, নৈশপ্রহরী ভাতা, অফিস খরচ ইত্যাদি নানা অজুহাতে কৃষকদের কাছে থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করছেন। এছাড়াও অন্য নলকুপ স্কীমে অবৈধভাবে সেচ দেয়া হচ্ছে। নীতিমালা লঙ্ঘন করে প্রিপেইড কার্ডে ঘন্টা প্রতি কুড়ি টাকা ও সিরিয়ালের নামে দশ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি গভীর নলকূপের আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব কাউকে দেন না। কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকূপটি পরিচালনার করা হোক।
স্থানীয় কৃষক নুরুল ইসলাম (৩৫) ও বাক্কার আলী (৪০) অভিযোগ করে বলেন, তিনি নিজের পুকুরে পানি দেন। আর সময় মতো সাধারণ কৃষকের ফসলের জমিতে সেচ দেয়া হচ্ছে না। এমনকি কার্ডে পানি নিতেও ঘন্টায় অপারেটর চার্জ ২০ টাকা ও সিরিয়াল ১০ টাকা মোট ৩০ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন। আবার জোরপূর্বক কৃষকের জমি অন্যের কাছে ইজারা দিতে বাধ্য করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অপারেটর আনারুল ইসলাম বলেন, কৃষকের সব অভিযোগ সঠিক নয়। একবার মেকানিক ডিপ ঘরে এলে দেড় থেকে দুই ‘হাজার টাকা খরচ হয়। অপারেটর হতে প্রায় লাখ টাকা লাগে এসব কি তিনি জমি বিক্রি করে দিবেন বলে এড়িয়ে গেছেন তিনি।
এবিষয়ে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মাহাফুজুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে অপারেটর আনারুলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তা/অ