সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:০৯ am
ডেস্ক রির্পোট : ভ্যাট ও আয়কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে রংপুরে মতবিনিময় সভা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) রংপুর চেম্বার অব কমার্স এ- ইন্ডাস্ট্রি মিলনায়তনে ‘ভ্যাট ও কর প্রদানে ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধকরণ ও সমস্যা নিরসনে’ এ সভায় রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রংপুর কাস্টম্স, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর কর অঞ্চলের কর কমিশনার শাহীন আক্তার হোসেন। বক্তব্য রাখেন, জেলা জুয়েলার্স মালিক সমিতি সভাপতি এনামুল হক সোহেল, চেম্বারের পরিচালক রিয়াজ শহীদ শোভন, ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন রংপুরের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মন্ডল মওলাসহ অন্যরা।
সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, রংপুর জেলায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠা থাকলেও সকল ব্যবসায়ীরা ভ্যাট ও করের আওতায় আসেনি। তাই সরকার প্রতি বছর অনেক রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সকল ব্যবসায়ীকে ভ্যাট ও করের আওতায় আনা গেলে রাজস্ব প্রদানকারী ব্যবসায়ীদের উপর চাপ করবে। সভায় ভ্যাট কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের হয়রানির অভিযোগ তোলা হয়।
রংপুর কাস্টম্স, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, গত বছর জানুয়ারী মাঝে রংপুর অঞ্চলে ১৪ হাজার ব্যবসায়ী ভ্যাটের রেজিস্ট্রেশন করেছিল। এ বছর সেটি ১৮ হাজার হয়েছে। অর্থ্যাৎ রাজস্ব প্রদানে ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হয়েছে। রংপুর অঞ্চলের ভ্যাট ও আয়করের বড় অংশ আসে বিড়ি শিল্প থেকে। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে অনলাইনে নিবন্ধন করা ছোট বিড়ি কারাখানাগুলো রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।
আমরা তাদের রাজস্ব ফাঁকি দেয়া বন্ধে কাজ করছি। ইতোমধ্যে রাজস্ব ফাঁকি দেয়া অনেক কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলাও হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সঠিক হিসাব না রাখায় ভ্যাট প্রদানের সময় রির্টানে নানা জটিলতা দেখা যায়। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকতে হবে। সূত্র : এফএনএস