মঙ্গবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৪৬ am
সাইদ সাজু :
রাজশাহীর তানোরে জমিতে আলু কুড়াতে ডেকে এক দরিদ্র প্রসূতীকে মারপিট করে পেটের বাচ্চা নষ্টের ঘটনা ঘটিয়েছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এঘটনার ৫ দিন পর শনিবার রাতে ওই প্রসূতি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন। রোববার দুপুরে মৃত পুত্র সন্তানকে তানোরে তাদের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। কিন্তু ওই প্রসূতি বর্তমানে রামেক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এমন ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শি ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সকালে তানোর পৌর এলাকার আমশো গ্রামের মৃত খেন্টুর পুত্র আলু চাষী শফিকুল ইসলাম তার জমিতে আলু কুড়ানোর জন্য একই গ্রামের ইমরান আলীর স্ত্রী ববিতা (৩০) (৮ মাসের অন্তসত্তা) বাড়ির পূর্ব পার্শ্বের আলুর জমিতে ডেকে নিয়ে যান। এসময় আলু কুড়ানোর এক পর্যায়ে শফিকুলের জামাইয়ের ভাই একই গ্রামের নাদের আলীর পুত্র রসুল (৫০) এর সাথে ওই প্রসূতির কথা কাটাকাটি হয়। এতে রসুল ওই প্রসূতিকে বেধড়ক ভাবে কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। ফলে ওই প্রসূতি জমিতেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
এসময় খবর পেয়ে গ্রামবাসী ও পরিবারের লোকজন মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ওই প্রসূতিকে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে ওই প্রসূতির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রামেক হাসপাতালে ৫ দিন ধরে ভর্তি থাকা অবস্থায় শনিবার রাতে ওই প্রসূতির মৃত পুত্র সন্তান প্রসব করেন।
এব্যাপারে ওই প্রসূতির ভাই সাইফুদ্দিন বলেন, আমার বোনকে অন্যায়ভাবে মারপিট করে পেটের বাচ্চা নষ্ট করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। তিনি আরও বলেন, থানায় গিয়েছিলাম পুলিশ বলেছে রোগী সুস্থ্য হয়ে আসলে থানায় অভিযোগ দিতে বলে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
এবিষয়ে জমির মালিক শফিকুল ইসলাম ও তার জামাইয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাত্র একটা থাপ্পর মারা হয়েছে। কি কারণে মারা হয়েছে তার উত্তর না দিয়ে সাংবাদিকদের এড়িযে যান তারা।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এবিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি। তা/অ