মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৩৩ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী নগরীসহ জেলায় ৬০ বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বহুতল ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
প্রায় প্রতিটি ভবনেরই দরজা, লাইট, ফ্যান, পানির পাম্প, ওয়্যারিং, বেসিন, ছাদের সিলিং, সোলার সিস্টেমের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকরা। দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়েও নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। অবশ্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের আশ্বাস, দ্রুত শেষ করা হবে প্রকল্পের কাজ।
সরেজমিন দেখা গেছে, দেয়াল দিয়ে অবিরাম বের হচ্ছে পানি। ভিজে সয়লাব মেঝে। খসে পড়ছে দেয়ালের রং ও পরেস্তারা। ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে পুঠিয়ার দৈপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের পর মাত্র ক’দিন আগেই শুরু হয়েছে ব্যবহার। ৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ের ছয়তলা ভবনের ৩৫টি সমস্যা তুলে ধরে লিখিত অভিযোগ করেছে নগরীর মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসা।
রাজশাহী মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোকাদ্দাসুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি ইঞ্জিনিয়ার এলে পুরো নির্মাণাধীন ভবন দেখাব, তখন যদি হ্যান্ডওভার নেয় তাহলে নেব।’
প্রায় প্রতিটি ভবনেরই দরজা, কমোডের ফ্ল্যাশ ও ফিটিংয়ে সমস্যা। অকেজো পানির কল, বৈদ্যুতিক সুইচ, রেগুলেটর। লাইট, ফ্যান, পানির পাম্প, ওয়্যারিং, বেসিন, ছাদের সিলিং, সোলার সিস্টেমের মান নিয়ে অভিযোগ করে এক শিক্ষক জানান, অভিযোগ দেয়ার পর এক মিস্ত্রি এসে কিছু ঠিক করে দিয়ে গেছে। পরে আর কেউ আসেনি, ঠিকও করেনি।
২০১৮ সালে শুরু হয়ে প্রথমে ২০২০ সালের ডিসেম্বর এবং পরে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও কাজ এখনও শেষ হয়নি।
কর্তৃপক্ষকে কয়েকটি বিদ্যালয় বুঝিয়ে দেয়া হলেও সরবরাহ করা হয়নি বেঞ্চসহ আসবাবপত্র। রাজশাহী আটকোষী মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে শ্রেণিকক্ষ সংকট রয়েছে, যে জন্য বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছি।’
ঠিকাদাররা বলছেন, মূল্যস্ফীতির কারণে বেড়েছে ব্যয়। তাতেই হচ্ছে বিলম্ব। রাজশাহীর সেলিম রেজা ঠিকাদার বলেন, ‘যেভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে, এ জন্য বাধ্য হয়ে কাজ করছি না। ঠিকাদার যদি লাভ করতে না পারে তাহলে কাজ করবে কীভাবে।’
শিক্ষার নির্বাহী প্রকৌশলীর দাবি, ত্রুটি ক্রমান্বয়ে সংশোধনের পর দ্রুত শেষ হবে প্রকল্পের কাজ।
রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাছিম রেজা বলেন, যেসব জায়গায় ত্রুটি ধরা পড়েছে, সেগুলো নোট করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পুনরায় ঠিক করে প্রকল্প শেষ করা হবে। সূত্র : সময় সংবাদ