মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:২৯ am
এম এম মামুন : আগামী ১১ ফেব্রুয়ারী বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচিকে কেন্দ্র রাজশাহীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২টায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব বিশ্বজিত সরকার। তিনি বলেন, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারীর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচিকে ঘিরে রাজশাহীর বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে বিস্ফোরক মামলা। এরই মধ্যে ৫টি মামলায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। পূর্বের মিথ্যে মামলায় পুরো বিভাগজুড়েই নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ হয়রানি করছে। পুলিশ পুরো বিভাগজুড়েই রীতিমত গ্রেপ্তার বাণিজ্য শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ এই কর্মসূচির ব্যাপারে কিছু না বললেও পুলিশ অতি উৎসাহিত হয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে।
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত বলেন, রাজশাহীতে বড় দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত নেই। অথচ পুলিশ উৎসাহিত হয়েই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। মামলাগুলো দেয়া হচ্ছে ককটেল বা বোমা বিস্ফোণের অভিযোগে। কিন্তু রাজশাহীর কোথাও একটা পটকাও ফুটেনি। কোথাও কোনো ঘটনাও নেই। কিন্তু পুলিশ ককটেল ও বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে একের পর এক মামলা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি জামায়াতের সাথে কখনো যাইনি, আমাকে সবাই ছাত্রনেতা হিসাবে চেনে, জানে। কিন্তু পুলিশ আমাকে জামায়াত-শিবির বলে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। পুলিশ প্রশাসন কেনো আমাকে জামায়াত-শিবির বলে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিলো সেটা আমার বোধগম্য নয়। আমার পুরো পরিবার বিএনপির করে। কেউ জামায়াত-শিবির করে না। তিনি এসব মিথ্যে গায়েবি মামলা প্রত্যাহারসহ গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদ বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করেনা। যা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দিকে তাকালে দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী মুখে যা বলেন, তা করেন না। তিনি বলেন, আগামীর কর্মসূচিকে গিরে বাঘায় ধড়পাকড় শুরু হয়েছে। কেনো তা আমরা জানি না।
তিনি বলেন, কোনো ঘটনা না থাকলেও ৫ মামলায় পুলিশ দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করেছে। বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের আটক বাণিজ্যও এখন রমরমা। তিনি বলেন, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারী বিএনপির কর্মসূচি আমরা সুষ্ঠুভাবে করতে চাই। সে জন্য জেলা প্রশাসককের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তিনি মামলা প্রত্যাহারের সাথে গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবি করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, আহবায়ক কমিটির সদস্য গোলাম মোস্তাফা মামুন, জাহান পান্না, মাসুদুর রহমান, সদর উদ্দিনসহ অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। রা/অ