বৃহস্পতিবর, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:০৭ pm
ডেস্ক রির্পোট : বগুড়ার গাবতলীর কাগইল গ্রামের শিক্ষার্থী গোলাম সাঈদ রিংকু (২৬) তুরস্কের ভূমিকম্পে নিখোঁজ হয়েছেন। খোঁজ না পেয়ে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা তার ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।
রিংকুর নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই রিফাত হাসান।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, গোলাম সাঈদ রিংকু বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের দেওনাই গ্রামের কৃষক গোলাম রব্বানীর ছেলে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তিনি ২০১১ সালে স্থানীয় কাগইল করুনাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন।
এরপর ২০১৩ সালে বগুড়া শহরের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। ২০১৫ সালে বৃত্তি নিয়ে তুরস্কে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান। রিংকু সেখানে কারামানমারাস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগে অনার্স শেষ করেন।
মাস্টার্স শেষবর্ষে লেখাপড়ার পাশাপাশি স্থানীয় একটি কলেজে পার্টটাইম শিক্ষকতা করেন। তিনি তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খাহরামানমারাসে বাস করতেন। তিনি ও নূরে আলম নামে এক বন্ধু যে ভবনে থাকতেন সেটিও ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে।
নূরে আলম বের হতে পারলেও বন্ধুরা রিংকুর খোঁজ পাননি। তারা সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি রিংকুর পরিবারকে অবহিত করেন। তিনি সর্বশেষ গত ২০১৮ সালে বাড়িতে এসেছিলেন।
রিংকুর ভাই রিফাত হাসান ও চাচা হাসান বিন জলিল তরুণ জানান, ভূমিকম্পের পর তার সঙ্গে ফোনে ও ইন্টারনেটে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। রিংকু কি অবস্থায় আছেন তা তার পরিবারের সদস্যরা জানেন না। তারা মঙ্গলবার দুপুরে তুরস্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে ফোন দিয়েছিলেন। সেখান থেকে রফিকুল ইসলাম নামে এক কর্মকর্তা তাদের জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত ভবনে বসবাসকারী নূরে আলমের সন্ধান পাওয়া গেলেও রিংকু নিখোঁজ রয়েছেন। তারা তার সন্ধান জানার চেষ্টা করছেন। জানতে পারলে তৎক্ষণাৎ অবহিত করার আশ্বাস দেন।
এদিকে রিংকু নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর থেকেই পরিবারে চলছে শোকের মাতম। রিংকুর সন্ধান পেতে বাবা ও মা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহায়তা চেয়েছেন। সূত্র : পদ্মাটাইমস