শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৫৪ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে প্রেমিকা অনশন করছে দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টা ধরে। কিন্ত দীর্ঘ সময় অনশন করেও প্রেমিকের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের জন্য কোন সাড়া মেলেনি। প্রেমের সুত্র ধরে বিয়ের দাবি নিয়ে ছেলের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন এক কলেজ ছাত্রী। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সাড়ে ৩০ ঘন্টা পার হলেও কোন সাড়া মেলেনি ছেলে কিংবা তার পরিবারের।
অন্যত্র বিয়ের কথা শুনে আগের দিন বিকেল ৪ টার দিকে ছেলের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে কলেজ ছাত্রী। এ সময় বাড়ির কক্ষে তালা ঝুলিয়ে চলে যান ছেলের পরিবার। বাড়িতে পাওয়া যায়নি ছেলেকেও। পরিবার শুন্য বাড়িতে রাত কাটান কলেজ ছাত্রী। আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে কলেজ ছাত্রী বলেন, বিয়ে না করা পর্যন্ত ছেলের বাড়ি থেকে তিনি যাবেননা । বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অনশন করা কলেজ ছাত্রী বলেন, বছর খানেক আগে ওই গ্রামের সাজদার রহমানের ছেলে সেনা সদস্য আবদুল্লার সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। সম্পর্কের সুত্র ধরে কয়েকবার দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে তার সাথে। এর মাঝে বিয়ের আশ্বাস দিলেও মাঝখানে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরিবার থেকে বিয়ের প্রস্থাব দিয়েও রাজি হয়নি আবদুল্লা ও তার পরিবার। পরে জানতে পারি অন্যত্র তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। সেই বিয়ে হবে শুক্রবার ১২ মার্চ। এ খবর জানার পর বিয়ের দােিবত আবদুল্লার বাড়িতে অনশন শুরু করেছি।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন ছেলে আব্দুল্লার বাড়িতে গিয়ে তাকেসহ পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে কলেজ ছাত্রীর বাবা রবিউল বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তা পাননি বলে দাবি করেছেন রবিউল। এ বিষয়ে আবদুল্লার মুঠো ফোনে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। আব্দুল্লার চাচী হাচেনা জানিয়েছেন,ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ে না দেওযার কথা তার পরিবারকে আগেই জানানো হযেছে।
পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর লোকমান হোসেন জানান, চেয়ারম্যান আমাকে অবগত করেছেন। আমি আবদুল্লার বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। পাকুড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মেরাজ সরকার জানান,কোন সমাধান হয়নি।
তবে নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পরিবারকে নিয়ে সমাঝোতার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি। বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই কলেজ ছাত্রী বিয়ের দাবিতে অনশন করছিল। আজকের তানোর