রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:২৭ am
মো. শাকিল হোসেন, নিয়ামতপুর (নওগাঁ) :
ইউএনও ছুটিতে যাবার সুযোগে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে নওগাঁর নিয়ামতপুরে চলছে অবৈধভাবে পুকুর খননের কাজ। এসব পুকুর খননকারী ব্যক্তিরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। ফলে অনেকটা নির্বিঘ্নেই চলছে পুকুর খননের মহোৎসব।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিন-রাত সমানতালে চলছে পুকুর খননের কাজ। তবে, স্থানীয় প্রশাসনের দাবি-পুকুর খননের খবরে ইতোমধ্যে অনেক জায়গায় নেয়া হয়েছে ব্যবস্থা। তারপরও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ যদি অবৈধ পুকুর খনন কাজ চালায় তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই নিয়ামতপুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুকুর খনন করছেন অসাধু ব্যক্তিরা। অতি মুনাফালোভী ব্যক্তিদের এমন কর্মকান্ডে পরিবেশের চরম ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের মানিকপাটন শালবাড়ীতে চলছে বিশাল আকারের পুকুর খনন। আর এসব পুকুর খনন করে মাটি বিক্রির জন্য যে রাস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে সেসব রাস্তার উপরে কাদামাটি পড়ে। ফলে সাধারণ মানুষের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ছে রাস্তাগুলো। সম্প্রতি ৩১ জানুয়ারী উপজেলা মাসিক আইন শৃংখলা সভায় এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রাস্তার উপর মাটি পড়ে থাকায় যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের মানিকপাটন গ্রামের অজিত চৌধুরীর ছেলে সুমন চৌধুরী বিশাল আকারের পুকুর খনন করছে সরকারি অনুমতি ছাড়ায়। সরেজমিনে দেখা যায়, মাটি কাটা ভিকু মেশিন দ্বারা পুকুর খননের কাজ চলছে। পুকুর কাটার চুক্তি নিয়েছেন উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রামগাঁ গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে আশরাফুল ও শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের বটতলী গ্রামের বাচ্চু।
তারা জানান, আমরা ৮ লক্ষ টাকায় চুক্তি নিয়েছি পুকুর খননের জন্য। এবিষয়ে সুমন চৌধুরীর সাথে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের দোস্তপুর কোচপাড়া গ্রামের মহেন্দ্র বর্মনের ছেলে সাগর বর্মন একই ভাবে সরকারি অনুমতি ছাড়া পুকুর খনন করছেন। এবিষয়ে সাগর বর্মনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কারও কাছ থেকে অনুমতি গ্রহন করি নাই।
অনুমতি ছাড়াই পুকুর খনন করছে কিভাবে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, আগে এখানে একটি ছোট জলাশয় ছিল। এখন সেটাই বড় করে পুকুর খনন করছি। যা লেখার লিখতে পারেন অসুবিধা নেই বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করেন তিনি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক সুফিয়ান ছুটিতে থাকায় তাঁর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। রা/অ