রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:০৩ am
এইচএম ফারুক, নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউপির শ্রীখন্ডা মাঝিপাড়া গ্রামে গোপাল চন্দ্র হালদারের পুত্র বিকাশ কুমারের বাড়িতে গত শনিবার সন্ধ্যায় এক স্বামী পরিত্যাক্তা নারী বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে অবস্থান করেছে। ওই নারী নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ভারশো ঋষিপাড়া গ্রামের সচিন চন্দ্রের কন্যা স্বামী পরিত্যাক্তা রিতা রানী। তিনি গত শনিবার বিয়ের দাবিতে বিকাশ কুমারের বাড়িতে অবস্থান করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউপির শ্রীখন্ডা মাঝিপাড়া গ্রামে গোপাল চন্দ্র হালদারের পুত্র বিকাশ কুমার এক সন্তানের জনক। সাংসারিক কলহে মান্দা উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের বটতলির জৈনক ব্যক্তির কন্যার সাথে এরআগে বিকাশ কুমারের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তার দরুন বিকাশ কুমার একাকী জীবন যাপন করে আসছেন। দ্বিতীয় বিবাহ করার জন্য প্রায় ৮ মাস আগে পারিবারিক ভাবে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ভারশো ঋষিপাড়া গ্রামের সচিন চন্দ্রের কন্যা রিতা রানীকে দেখতে যান। তবে, বিকাশ কুমারের মেয়ে পছন্দ না হওয়ায় বিয়ে হয়নি।
এবিষয়ে বিকাশ কুমার জানান, আমি দ্বিতীয় বিবাহ করার জন্য প্রায় ৮ মাস আগে পারিবারিক ভাবে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ভারশো ঋষিপাড়া গ্রামের সচিন চন্দ্রের কন্যা রিতা রানীকে দেখতে যায়। তবে, মেয়ে পছন্দ না হওয়ায় বিয়ে হয়নি। তারপর থেকে কোনো যোগাযোগ নাই তাদের সাথে। আমি মৎস্যজীবী ও কৃষি কাজ করে পরিবার চালায়। আমি তেমন মোবাইলও ব্যবহার করি না। তার সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। হটাৎ করে এ মেয়ে আমার বাড়িতে এসে বিয়ের দাবি করছে। আমি বাড়িতে ছিলাম না কামারগাঁ বাজারে ছিলাম। বাড়ি এসে দেখি এক মেয়ে আমাকে বিয়ে করবে বলে বসে আছে আমি তাকে চিনতে পারিনি। পরে পরিচয় দিলে বাড়ির সবাই তাকে চিনতে পারে। পরে গ্রামের প্রধান ও মেম্বারকে ডাকি।
রিতা রানীর জানান, রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউপির শ্রীখন্ডা মাঝিপাড়া গ্রামে গোপাল চন্দ্র হালদারের পুত্র বিকাশ কুমার আমাকে বিয়ে করবে বলে দেখতে যায়। তাকে আমার পছন্দ হয়। বারবার বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তার সাথে আমাকে বিয়ে দেয়া হয়নি তাই তার বাড়িতে চলে এসেছি। ছেলের সাথে কি আপনার নিয়মিত যোগাযোগ হতো? ছেলের সাথে কি আপনার কোনো শারিরীক সম্পর্ক ছিলো আপনার? এমন প্রশ্নে রিতা রানী এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে মেম্বার শরিফুল ইসলাম রাজা জানান, এক মেয়ে মাঝিপাড়া গ্রামের বিকাশকে বিয়ে করবে বলে এসেছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে ডাকা হয়। আমি মেয়ের সাথে কথা বলে তার অভিভাবক ও ভারশো ইউপির মেম্বারকে ডাকি স্থানীয় ভাবে শালিশ করে রোববার বিকোলে মেয়েকে অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
মাঝিপাড়া গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তির নিকট জানা গেছে, বিকাশ একটা সরল সোজা ছেলে। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ওই মেয়ে বিয়ে করবে বলে বিকাশের বাড়িতে আসে। কিন্তু বিকাশের বাড়িতে আসার যুক্তিযুক্ত কোন কারণ মেয়েটি বলতে পারেনি। পরে মেয়ের পরিবারের লোকজন ও ভারশো ইউপির মেম্বার মো. চিতল এসে তাকে নিয়ে যায়। তা/অ