মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৪৯ am
সাইদ সাজু :
রাজশাহীর তানোরে ওয়াকফ এস্টেটের সম্পত্তি জবর-দখল করে পাঁকা রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সভার মেয়র সাইদুর রহমান। এঘটনায় ওয়াকফ এস্টেটের ৩ জন মতোয়াল্লী বাদি হয়ে মুন্ডুমালা পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার পাঁচন্দর মৌজার আরএস ৭০ নম্বর খতিয়ানের ১৯৩ দাগের মোট ১১ বিঘা সম্পত্তি চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমনুরা কিসমতুল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের সম্পত্তি।
ওই সম্পত্তির ফসলী জমির মাঝ দিয়ে ১০ থেকে ১২ ফুট চওড়া এবং লম্বায় ৫০০ ফুট জায়গার উপর দিয়ে জোরপূর্বক ভাবে পাঁকা রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন মুন্ডুমালা পৌর কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এলাকাবাসীর দাবি সমঝোতার মাধ্যমে রাস্তাটি প্রশস্ত করা হোক।
আমনুরা কিসমতউল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের ৩ জন যুগ্ন মতোয়াল্লী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমনুরা মিয়াপাড়ার মৃত মহাসিন আলী মিয়ার পুত্র রফিকুল ইসলাম, মৃত হাসিম উদ্দিন মিয়ার পুত্র জিয়াউর রহমান এবং মৃত শামসুদ্দিন মিয়ার পুত্র নুরুল ইসলাম মেয়রকে কাজ বন্ধের অনুরোধ করেন।
কিন্তু তাদের কথার কোন কর্ণপাত না করে জোরপূর্বক ভাবে রাস্তার নির্মাণের জন্য ওই ৩ ফসলী সম্পত্তির উপর ইট বালি ফেলে রাস্তার নির্মাণ কাজ অব্যহত রয়েছে। ওই ৩ ফসলী জমিতে ইট ও বালি রাখার ফলে তারা বোরো চাষও করতে পারছেন না।
সোমবার দুপুরে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, তানোর-মুন্ডুমালা সড়কের মাহালীপাড়া নামকস্থান থেকে দক্ষিণে বাগমারাপাড়া যাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন আগে ইট সোলিংয়ের আরসিসি ৬ ফিট প্রশস্ত ৮০০ মিটার দীর্ঘ রাস্তা নির্মাণ করা ছিলো।
ওই রাস্তাটি বর্তমানে ১২ ফুট চওড়া করে পাঁকা করার কাজ শুরু করা হয়েছে। ওই রাস্তা নির্মাণ করা হলে কিসমতুল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের প্রশস্ত ১২ ফুট ও লম্বায় প্রায় ৫০০ ফুট সম্পত্তি ফসলী জমি পড়বে। যার পরিমান দাড়াবে প্রায় ১ বিঘা। বর্তমান বাজারে যার মুল্যে প্রায় ৩০ লাখ টাকারও বেশি।
এবিষয়ে আমনুরা কিসমতউল্লাহ ওয়াকফ এস্টেটের মতোয়াল্লী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমনুরা মিয়াপাড়ার মৃত মহাসিন আলী মিয়ার পুত্র রফিকুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তা নির্মাণে তার প্রায় ১ বিঘা জমি রাস্তার জন্য নষ্ট যাবে। তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে না জানিয়েই এবং আইনকে তোয়াক্কা না করেই এবং প্রশাসনকে বৃদ্ধঙ্গুলী দেখিয়ে জোরপূর্বক ভাবে আমাদের ওয়াকফ এস্টেটের সম্পত্তি (৩ ফসলী জমি)’র মাঝখান দিয়ে রাস্তার কাজ শুরু করা হয়েছে।
এব্যাপারে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে মুন্ডমালা পৌরসভার মেয়র সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আগে থেকেই ৬ ফিট চওড়া ইট সোলিং রাস্তা করা ছিলো। যা বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে গ্রামবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে রাস্তাটি প্রশস্ত করে নতুন ভাবে নির্মাণ কাজ শুরু করা হচ্ছে।
মেয়র আরও বলেন, একাধীকবার গ্রামের লোকজন নিয়ে ওই সম্পত্তির মালিকের বাড়িতে গিয়ে রাস্তার জন্য আরো ২ ফিট (মানে মোট ৮ ফিট প্রশস্ত) রাস্তা নির্মাণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিলো। কিন্তু তারা ক্লিয়ারলি কিছুই বলেননি। বিষয়টি তাদের সাথে বসে আপোষ করা হবে বলেও জানান মেয়র সাইদুর রহমান। রা/অ