রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৩৯ am
মো.শাকিল হোসেন (নিজস্ব প্রতিবেদক) নিয়ামতপুর :
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আর সেই শিক্ষা যারা প্রদান করেন, তাদের জাতির বিবেক বলা হয়। সেই শিক্ষক যখন সবচেয়ে জঘন্য কাজ করেন তাকে কি বলা যায়? শুনেছি বিশ^কাপে গোল দিয়ে অনেক খেলোয়ার বিশ^কাপ জয় করে হ্যাট্রিক করেছেন। এছাড়াও অনেকে নির্বাচনে জয়ী হয়ে হ্যাট্রিক করেন। কিন্তু এবার আলাউদ্দিন নামের এক প্রধান শিক্ষক পরকিয়ায় হ্যাট্রিক করেছেন। এমন খবরে এলাকায় চলছে মুখরোচক গল্পে পরিণত হয়েছে।
এমন ঘটনা ঘটেছে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আদমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দ্বারা। তার বাড়ি একই উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের কুমারপুর গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত মতিউর রহমান মতি। ওই শিক্ষকের নাম আলাউদ্দিন মাস্টার।
ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে প্রতিবেশি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারী রাত আনুমানিক ১০টার দিকে একই গ্রামের জিয়াউল হক শুকুরের স্ত্রী লুৎফুন (৩০) এর সাথে জিয়াউল হকের বাড়ির বাইরে আপত্তিকর অবস্থায় জিয়াউল হক নিজেই তার স্ত্রী ও আলাউদ্দিনকে হাতেনাতে ধরে চিৎকার দিতে শুরু করেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসলে আলাউদ্দিন ও লুৎফুনকে আটকে রাখার চেষ্টা করলে আলাউদ্দিন মাস্টার কোন রকমে পালিয়ে যান।
পরে বিষয়টি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্ট করা হয়। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। একজন শিক্ষক হয়ে বারবার এ রকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে যাবে তা হতে পারে না। এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার।
এবিষয়ে প্রতিবেশি কালামের স্ত্রী মাজেদা বলেন, শুকুরের চিৎকার শুনে আমরা মনে করেছিলাম চোর এসেছে। তাই আমরা বাইরে এসে দেখি জিয়াউলের স্ত্রী লুৎফুন ও মাস্টার আলাউদ্দিনকে জিয়াউল চাপটে ধরে রেখেছে। লুৎফন ও আলাউদ্দিন তখন বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল। পরে আলাউদ্দিন মাস্টার কোন রকমে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে আদমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরকীয়ায় হ্যাট্রিককারী আলাউদ্দিন বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে হ্যানস্তা করার জন্য এলাকার কিছু মানুষ মিথ্যা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে।
এবিষয়ে জিয়াউল হকের বাড়িতে সরেজমিনে গেলে তারা এ প্রতিবেদকের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি। বরং রাগান্বিত হয়ে জিয়াউল হক এ প্রতিবেদককে বলেন, এখন কিছু বলা যাবে না। আমার মাথা ঠিক নেই। সময় হলে আপনাদের ডাকা হবে।
লুৎফুনের বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার মরশিভজা গ্রামে। আমি ঘটনাটি শোনার পর মেয়ের বাড়িতে এসেছি। এখন আমি কিছু বলতে পারবো না। পরে জানাবো।
এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল আলম জানান, এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, আলাউদ্দিন মাস্টার ১০ থেকে ১১ বছর পূর্বে একই গ্রামের শরিফুলের স্ত্রীর সাথেও পরকীয়ায় ধরা খেয়ে ৩৫ হাজার টাকা এবং ১ মাস পূর্বে তজিবরের স্ত্রীর সাথে ধরা খেয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেন। রা/অ