রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:০৬ am
এম এম মামুন :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় নতুন শিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক ট্রেনিং এ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের টাকা কম দেওয়ায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) প্রশিক্ষণের শেষ দিনে বিকেল ৫ টার সময় রাজশাহীর মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ট্রেনিং শেষে টাকা কম দেওয়ার করণে উপজেলা শিক্ষাকর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা।
এসময় আন্দোলনের মুখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষকদের চাহিদার টাকা ফেরত দিয়ে মুক্ত হয়েছেন। শিক্ষকরা বলেছেন, তারপরেও প্রতি শিক্ষকদেরকে ১০ টাকা করে কম দিয়েছেন। তবে, ওই শিক্ষা কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছিলো। এখানে অবরূদ্ধ করার মত কিছু হয়নি।
রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, রাজশাহীতে নতুন শিক্ষাকার্যক্রম এনসিএফ ট্রেনিং চলমান আছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় ৫ দিন ব্যাপী ৬৫২ জন শিক্ষকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন ৬৩৮ জন। এদের মধ্যে ৪৪টি স্কুল ও ১৮টি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। ৫ দিনে শিক্ষকদের সম্মানি বাবদ তাদের জন্য বরাদ্দ ছিলো ভ্যাট বাদে ৫ হাজার ১৩০ টাকা করে। এছাড়া সংশ্লিষ্টরা প্রতিদিনের নাস্তা সরবরাহ করতেন। এ বাবদ প্রতিজনের জন্য খরচ বরাদ্দ ছিলো ৮০ টাকা করে। তবে, শিক্ষকদের ৫ দিনের ট্রেনিংগে তিনদিন মাত্র নাস্তা দেওয়া হয়েছে।
প্রশিক্ষণের অংশগ্রহণ করা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মোহানপুর উপজেলার একাধিক শিক্ষক বলেন, প্রথম দুইদিন যে নাস্তা দেয়া হয়েছে তাকে কোন ভাবেই ৮০ টাকা খরচ হবার কথা বলা যায় না। সব মিলিয়ে বড়জোর ২৫ থেকে ৩০ টাকা হবে। এজন্য শিক্ষকরা সবাই মিলে জানায় আমরা নাস্তা খাবো না এর বিনিময়ে আমরা টাকা নিবো। তবে, শিক্ষা কর্মকর্তারা বলেন, আমরা ৮০ টাকার বদলে ৫০ টাকা করে ৩ দিনের জন্য ১৫০ টাকা দিতে পারবো। শিক্ষকরাও সেটি মেনে নেন। আবার ট্রেনিং শেষে শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা থেকে ৮০ টাকা করে কেটে রাখেন শিক্ষা কর্মকর্তা।
শিক্ষককরা জানান, প্রত্যেক শিক্ষককে ৫২৮০ টাকা করে দেওয়ার কথা থাকলেও ৫২০০ টাকা দেয়া হয়। এসময় ৮০ টাকা কম দেয়ায় শিক্ষকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। শিক্ষকদের বাধার কারণে ট্রেনিং সেন্টার থেকে বের হতে পারছিলেন না কর্মকর্তারা। পরে তারা বাধ্য হয়ে প্রত্যেককে ৫২৭০ টাকা করে দিয়ে ট্রেনিং সেন্টার ছেড়ে গেছেন। প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে ১০ টাকা করে কেটে নিলেও শেষ পর্যন্ত শিক্ষকরা এনিয়ে আর বেশি কিছু বলেন নি।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের টাকা কম দেওয়া বিষয়ে মোহনপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুকতাদির আহম্মদ বলেন, ট্রেনিংএ ভ্যাট কাটা নিয়ে যে চিঠি ছিলো সেটাতে তারা কিছু টাকা কম পাচ্ছিলো। এরপর তারাও একটি চিঠি দিলো। পরে ভুল বুঝাবুঝির কারণে যে টাকাটা তারা কম পাচ্ছিলো ঐ টাকা তাদের হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর আর কোন সমস্যা নেই।
তবে, এই শিক্ষা কর্মকর্তা অবরুদ্ধ থাকার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, কোন ধরনের অবরুদ্ধের ঘটনা ঘটে নি। তাদের টাকা দিয়ে দেওয়ার পরই তারা চলে গেছে বলে জানান তিনি। রা/অ