মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৪৩ pm
এম এম মামুন :
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিনের বিরুদ্ধের দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন, নিয়োগ বাণিজ্য, জমি দখল ছাড়াও নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিজ আসনের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, তিনি একজন রাজাকারের সন্তান। এসব কারণে আগামী নির্বাচনে এমপি মো. আয়েন উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন পেলেও জামানত হারাবেন।
লিখিত অভিযোগে আরও বলেন, এমপি আয়েন উদ্দিন জামায়াত-শিবির, রাজাকারের সন্তানদের চাকুরি দিয়েছেন। তার লোক দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারধর, নির্যাতন ও মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। এসব অভিযোগ আমরা কেন্দ্রে দিয়েছি। আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন থেকে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) এমপি আয়েন উদ্দিনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মোহনপুর উপজেলা কৃষকলীগের মহিলা সম্পাদক শেখ হাবিবা, উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শ্রী সুরঞ্জিত সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আলী, ঘাসিগ্রাম ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবজাল হোসেন বকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আজাহার আলী ও উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মজিবর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবজাল হোসেন বকুল ও মোহনপুর উপজেলা কৃষকলীগের মহিলা সম্পাদক শেখ হাবিবা।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর মোহনপুর উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য হাবিবা হামলার শিকার হন এমপি আয়েন উদ্দিনের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার কারণে। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য শ্রী সুরঞ্জিত সরকারকে মারধর করা হয় এমপি আয়েন উদ্দিনের নির্দেশে ২০১৫ সালে। এমপি আয়েন উদ্দিন তুলসীক্ষেত্র নামক স্থানে শত শত কৃষকের ফসলী জমি রাতা রাতি জবর দখল করে নিয়ে পুকুর খনন করেছে। আনন্দ উল্লাসের জন্য বাগান বাড়ি তৈরি করেছেন। মোহনপুর উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের শুটকি বিল ও রায়ঘাটি ইউনয়নের হিন্নাবিল এমপি আয়েন উদ্দিন ও তার বড় ভাই বাবলু দখল করে মাছ চাষ করছেন।
এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে জামায়াত-বিএনপি পন্থীদের নিয়োগ দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করেছে। এমপি আয়েন উদ্দিন নির্বাচিত হওয়ার পরে আওয়ামী লীগের ত্যাগী, যোগ্য ও নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক পদ হতে বঞ্চিত হচ্ছে। এমপি মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে হাইব্রিডদের বিভিন্ন পদে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এমপি আয়েন উদ্দিন পরিবার ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করে। যা ৭১’এর মোহনপুর বইয়ের মাধ্যমে ও বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ ব্যক্তিদের মাধ্যমে জানতে পারা যায় এমপি আয়েন উদ্দিনের পিতা ও তার দুলাভাই উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের বাবা একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার পিস কমিটির সদস্য ছিল, যাহা সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়েছে।
এমপি আয়েন উদ্দিনের সাবেক পিএস বিজয় রাজাকারের সন্তান এবং বর্তমান এপিএস মিজানুর রহমান ২০০৮ সালের পূর্বে বিএনপির ক্যাডার ছিলেন। এমপি আয়েন উদ্দিনের বড় ভাই আজহারুল ইসলাম বাবলু দুইবারের নৌকার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ২০০৮ এর পূর্বে কোন দিনও করেনি আওয়ামী লীগ। তার বাবা ছিল রাজাকার পিস কমিটির সদস্য।
এবিষয়ে সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দীন বলেন, তারা বর্তমানে আওয়ামী লীগের আর কোন কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। তারা আওয়ামী লীগের ক্ষতি করছে। এদের কাজই হলো আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করা। এদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অভিযোগ রয়েছে। রা/অ