রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৪২ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোহনপুর :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের চন্দ্রকোলা গ্রামের ভ্যানচালক আবদুল খালেককে সামাজিকভাবে অবরুদ্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে। তার বাড়ির চারিদিক বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছেন প্রতিবেশি ও প্রভাবশালী হাজী ফজলুর রহমান। এতে খালেক নিরুপায় হয়ে নিরসন চেয়ে বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাজী ফজলুর রহমান ওই এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয়দের অনেকটায় জিম্মি করে রাখেন। তার অনুশ্বাসন মেনে না চললেই যে কেউ পড়তে পারেন এধরণের বিপাকে। এজন্য তার হুকুমের বাহিরে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন না ওই পাড়ার বসবাসকারী সাধারণ মানুষ।
ভ্যানচালক খালেক ওই গ্রামে ঘরজামাই হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করছেন। তার বসত ভিটার এক পাশ দিয়ে রাস্তা হিসেবে চলাচল করে প্রতিবেশিরা। এবার ওই বসতভিটার অন্য পাশ দিয়েও সম্পূর্ণ রাস্তা চাই প্রতিবেশিরা। খালেক সে পাশেও অর্ধেক জমি দিলেও পাশ্ববর্তী জমির মালিকরা বাকি জমি না দিয়ে সম্পূর্ণ রাস্তা খালেকের জমির উপর দিয়ে রাস্তা করতে মরিয়া হয়ে ওঠে।
এতে খালেক দ্বিমত করলেই হাজী ফজলুরের নের্তৃত্বে খালেকের জমির উপর বেড়া দিয়ে খালেকের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখা হয়েছে। প্রায় এক সপ্তা ধরে প্রতিবেশিদের বাধার মুখে ভ্যান নিয়ে বাড়িতে যেতে পারেন নি। তিনি ভ্যান নিয়ে অন্য গ্রামে দিন কাটালেও কলেজ পড়ুয়া একমাত্র মেয়েকে নিয়ে ওই বাড়িতে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন খালেকের স্ত্রী।
চন্দ্রকোলা গ্রামের অন্য পাড়ার একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন, ফজলু হাজীর অনেক জমিজমা। এজন্য পাড়ার মানুষ তার কথায় চলাচল করে। কেউ তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কিছু করার ক্ষমতা রাখেন না। এছাড়াও তারা আরো জানিয়েছেন, ফজলু হাজী নিজেই খালেকের জমির উপর বেড়া দিয়ে খালেকের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। গরীব মানুষ ভ্যান চালিয়ে যার সংসার যাপন। এজন্য কর্তৃপক্ষের নজরদারি কামনা করেন তারা।
এবিষয়ে হাজী ফজলুর রহমান বলেন, গোটা গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তক্রমে বেড়া দেয়া হয়েছে। খালেক অন্যজনকে রাস্তা দেয়নি। এজন্য তার ভ্যান চলার রাস্তা বন্ধ করে রাখা আছে। অন্যরা রাস্তা দিলে তাকেও রাস্তা দেয়া হবে। অন্যথায় ওভাবেই চলছে চলুক বলে এড়িয়ে হাজী ফজলুর রহমান।
এব্যাপারে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা ফাজেমাতুজ্জোহুরাকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও পাওয়া যায়নি। রা/অ