শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:২১ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
তানোরে শিক্ষক সমিতিকে নিজ পকেটে রাখতে মরিয়া বিএনপি নেতা মিজান অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না নগরীতে বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাত আগামী ২৯ নভেম্বর খুলছে রাজশাহী সুগার মিল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১১ বাগমারা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু তালেবের ইন্তেকাল তানোরে মসজিদের এসি অফিসার্স ক্লাবে, ইমামের অর্থ আত্নসাৎ প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তানোরে বিএনপির কর্মীসভা নগরীতে ছাত্রলীগ নেতাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেপ্তার লীজকৃত পুকুর দখল, মালিককে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ পুঠিয়ায় ভুয়া ডাক্তার ধরে প্রাননাশের হুমকির মুখে সাংবাদিকরা রাজশাহী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন তানোর থানায় দালালের দৌরাত্ন্য বৃদ্ধি, অসহায় মানুষ দুর্গাপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে আটক ৩ জনের কারাদণ্ড গ্রাহকের ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, বন্ধু মিতালীর চেয়ারম্যানসহ আটক ৪ রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে আ.লীগকে দূরে রাখতে ছাত্রনেতাদের চাপ অর্ন্তবর্তী সরকারকে নিরপেক্ষ না হওয়ার আহ্বান বিএনপি নেতাদের তানোরে সরকারি কর্মকর্তা ও সুধীজনদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সাম্প্রতিক সময়ে অটোরিকশা বন্ধের দাবিতে সচেতন নাগরকবাসী
আমার সঙ্গে হিন্দু কার্ড খেলতে যাবেন না : মমতা

আমার সঙ্গে হিন্দু কার্ড খেলতে যাবেন না : মমতা

জমি আন্দোলনের ভূমি নন্দীগ্রাম থেকেই এবার জিতে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তৃণমূল প্রার্থী তালিকায় নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জ্বলজ্বল করছে।

ভাবনীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়াই করায় বিজেপি তাকে ‘বহিরাগত’ বলে কটাক্ষ করছে। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, ‘কেউ কেউ বলে বেরাচ্ছে, আমি নাকি বাইরের লোক। আরে আমি তো বাংলার লোক। নিজেরা দিল্লি-রাজস্থানের লোকেদের নিয়ে আসছে। আর আমি কলকাতা থেকে এখানে দাঁড়াচ্ছি বলেই দোষ? আমি বহিরাগত হলে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতাম? যারা হিন্দু-মুসলিম করছেন তাদের আমি বলে রাখি। আমিও হিন্দু ঘরের মেয়ে। আমার সঙ্গে হিন্দু কার্ড খেলতে যাবেন না।’

মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে প্রথম কর্মিসভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা এসব কথা বলেন। তিনি তার বক্তব্যে একাধিকবার বললেন, ‘ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম’।

সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম- একদিকে জমি আন্দোলনের ধাত্রীভূমি, অন্যদিকে মমতার রাজনৈতিক উত্থানের অন্যতম পীঠস্থান। তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন জানান, তিনি ভেবেইছিলেন যে এবার হয় সিঙ্গুর অথবা নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড়াবেন। তবে, কেন নন্দীগ্রামকেই তিনি বেছে নিলেন তাও সাফ জানালেন এদিনের কর্মীসভায়।কী বলেছেন মমতা?

নিজের ভাষণের শুরুতেই এদিন জমি আন্দোলনের দিনগুলোর স্মৃতি উস্কে দেন তৃণমূল নেত্রী। তুলে ধরেন সেদিনের কঠিন লড়াইয়ের কথা। বলেন, ‘আমি শেষভার যখন নন্দীগ্রামে এসেছিলাম তখন এখানকার বিধায়ক দল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। বিধায়কপদ খালি ছিল। তখন আমি আপনাদের থেকে জানতে চাই যে, নন্দীগ্রামে যদি আমি দাঁড়াই তাহলে কেমন হবে? তখন আপনাদের সাহস-উন্মাদনা দেখে আমি নন্দীগ্রামের দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। মনে রাখবেন, ভুলতে পারি সবার নাম ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম।’

এই প্রসঙ্গেই সিঙ্গুরে আন্দোলনের প্রসঙ্গ টানেন মমতা। বলেন, ‘সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামকে আমি যুক্ত করে দিয়েছিলাম। আমার ইচ্ছা ছিল সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের মধ্যে যে কোনও একটা সিটে লড়াই করব। শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রামকেই বেছে নিয়েছি।’

পুরনো স্মৃতিচারণ করে মমতা বলেন, ‘ চণ্ডিপুর থেকে নন্দীগ্রাম এসেছিলাম। কীভাবে তখন মানুষের ওপর অত্যাচার করা হয় তখন দেখেছিলাম। তার পর গোটা বাংলা জুডে আন্দোলন করেছি। সেই সময়ে তাহের, সুফিয়ানরা ছিল। ভয়ে অনেকে সেই সময়ে বের হয়নি। তিনি বলেন, ‘যদি মনে করেন আপনাদের ঘরের মেয়ে। তাহলে আমাকে বলবেন তবেই আমি মনোনয়ন জমা দিতে যাব।’

মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে নন্দীগ্রামই যে আগামী দিনে বাংলার মডেল আসন হতে চলেছে বলে ইঙ্গিত দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। nS

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.