মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:২০ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
পৌষের মাঝামাঝি সময়ে রাজশাহীর তানোরে জেঁকে বসেছে শীত। হাড় কাপানো এই শীতে ছিন্নমূল মানুষের পাশাপাশি অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীরা বেকায়দায় পড়েছেন। কিন্তু আয়-রুজি কম থাকায় নিজেরাও কিনতে পারছেন না প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র। কিন্তু সরকারি গোডাউনে ৪৯৫টি শীতবস্ত্র বা কম্বল তালাবদ্ধ রয়েছে। এতো শীতেও বিতরণে উদ্দ্যোগ নেয়া হয়নি।
তথ্যানুন্ধনে জানা গেছে, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২৫ ডিসেম্বর ৪৯৫টি শীতবস্ত্র বা কম্বল বরাদ্দ পায় তানোর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। কিন্তু ত্রাণ ও পূর্ণবাসন মন্ত্রণালয় থেকে এখনও এই সরকারি দপ্তরে শীতবস্ত্র আসেনি বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট পিআইও অফিস।
এবিষয়ে তানোর পৌরসদরের বাসিন্দা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সাদিকুল ইসলাম বলেন, পৌষের মাঝামাঝি সময়ে চারদিকে হাড়কাপানো শীত শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই বললেও ভুল হয় না। তবে, দেখা গেলেও তাপমাত্রা নেই। এঅবস্থায় কিন্তু শীতার্ত মানুষের পাশে বিভিন্ন সংগঠন কিংবা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। কেবলমাত্র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আবুল বাসার সুজনের উদ্দ্যোগে তানোর ও মুন্ডুমালায় বেশ কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। কিন্তু এউপজেলার প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক মানুষের মাঝে কোন শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি। ফলে শীতবস্ত্রের অভাবে শীতে কাঁপছে এ উপজেলার হাজারো মানুষ। বিশেষ করে হতদরিদ্র ও প্রতিবন্ধী আর অসহায় শীতার্ত এ মানুষগুলো প্রতিদিন অপেক্ষায় থাকেন কেউ না কেউ এসে এই বুঝি কম্বল দেবে। কিন্তু সে স্বপ্নই থেকে যায়। বাস্তবে কেউ আজও কোন শীতবস্ত্র দেন নাই।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তারিকুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে ৪৯৫টি শীতবস্ত্র পাওয়া গেছে। এসব শীতবস্ত্র প্রত্যেক ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বিভাজন করে দেয়া হবে। আর ত্রাণ ও পূর্ণবাসন মন্ত্রণালয় থেকে এখনও কোন শীতবস্ত্র আসেনি বলে জানান তিনি। তা/অ