শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৩২ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনুসহ চার নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন করা হয়েছে। গত ২ মার্চ রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পচাত্তরের ১৫ আগস্ট স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রাণনামের হুমকি ও সরকার উৎখাতের রাষ্ট্র বিরোধী বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রশাসক) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মোসাব্বিরুল ইসলাম এ অভিযোগ দায়ের করে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে আমলে নেয়ার জন্য অনুমোদনের আবেদন করেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ কমিশনারের দপ্তরে পাঠিয়েছে বলে জানান, আইনজীবী মোসাব্বিরুল ইসলাম।
মিজানুর রহমান মিনু ছাড়াও মামলার এজাহারে আসামী করা হয়েছে- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিলন।
আইনজীবী মোসাব্বিরুল ইসলাম বলেন, দন্ডবিধির ১২৩(ক)/১২৪(ক)/৩৪ ধারায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে তা আমলে নেয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হলে এটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে রেকর্ড হবে।
এদিকে, বিএনপির চার নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। নগরের কুমারপাড়া দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
তিনি বলেন, অভিযোগটি তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসক পুলিশ কমিশনার কাছে পাঠিয়েছে। এর পর তদন্ত প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাবে। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর মামলা রেকর্ড হবে। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে দুই-তিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
খায়রুজ্জামান লিটন জানান, গত ৩ মার্চ নগর আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সভায় মিজানুর রহমান মিনুসহ বিএনপি নেতাদের ক্ষমা চাইতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া হয়েছিল। গত ৬ মার্চ আল্টিমেটামের সময় শেষ হয়। এর মধ্যে গত রোববার মিজানুর রহমান মিনু ক্ষমা না চেয়ে দু:খ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন। ফলে ক্ষমা না চাওয়ায় নগর আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান লিটন।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদি আইনজীবী মোসাব্বিরুল ইসলাম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, নওশের আলী, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লেমন প্রমূখ। আজকের তানোর