বৃহস্পতিবর, ১৯ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:০৩ am
এম এম মামুন : পৌষের মাঝামাঝিতে রাজশাহীতে জেঁকে বসেছে শীত। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। রাজশাহীতে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা কমেছে।
উত্তরের হিমেল হাওয়ায় থরথর কাঁপছে প্রকৃতি ও জনজীবন। দিনের শেষভাগে কিছু সময়ের জন্য সূর্যালোক প্রকৃতিতে স্বল্পমাত্রার তাপ ছড়ালেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
সন্ধ্যার আগে ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে রাজশাহী ও আশপাশের অঞ্চল। ঠাণ্ডার প্রকোপ বাড়তে থাকায় লোকজন সন্ধ্যার আগেই ঘরে ফিরেছে। অনেকেই লেপমুড়ি দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেছেন।
এদিকে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাষ সহকারী কামাল উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মাত্র দুদিনের ব্যবধানে রাজশাহীতে তাপমাত্রা কমেছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একদিনের ব্যবধানে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে। বুধবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাষে বলা হয়েছে, এ সময়ে রাজশাহীসহ আশপাশের জেলাগুলোতে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। কনকনে ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হবে। এমনকি চলমান শৈত্যপ্রবাহ মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহেও রূপ নিতে পারে দুদিনের ব্যবধানে। চলমান শৈত্যপ্রবাহ ৫ থেকে সাতদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। বিশেষ করে উত্তর ভারত ও গাঙ্গেয় অববাহিকায় বাতাসে হালকা তুষারপাত হচ্ছে। এই হাওয়া রাজশাহী অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে ঢুকছে। এ কারণে দ্রুত তাপমাত্রা কমছে।
এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের জরুরি সতর্কীকরণ বুলেটিনে বলা হয়েছে- বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে রাজশাহী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী নওগাঁ, পাবনা, নীলফামারী, ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পরবর্তী সময়ে উত্তরের আরও কয়েকটি জেলায় বিস্তার লাভ করতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে। রাতের বেলা নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশায় ঢেকে দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটার থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, দ্রুত সময়ে বাতাসে তাপমাত্রার পরিমাণ অধিক কমে কনকনে ঠাণ্ডা অনুভূত হলে এ পরিস্থিতিকে শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি হলে মৃদু, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি হলে মাঝারি ও ৬ থেকে ৪ ডিগ্রি হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে। রা/অ