শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৩৭ am
ডেস্ক রির্পোট : রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় নির্ধারিত সময়েই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। একটানা বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ চলবে। এটি রংপুর সিটির তৃতীয় নির্বাচন। নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন সোয়া চার লাখ ভোটার।
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ মোট ৯ জন রংপুরের মেয়র হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন, যাদের মধ্যে দুজন স্বতন্ত্র। বিএনপি ভোটে না থাকায় দ্বিমুখী লড়াইয়ের কথা বলেছেন স্থানীয়রা।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, কুমিল্লা সিটির মত রংপুরেও ইভিএমে ভোট হচ্ছে। নজরদারির জন্য সব কেন্দ্রে রয়েছে সিসি ক্যামেরা।
কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের দ্বিতীয় সিটি নির্বাচন এটি। ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সিইসি।
এই ভোটের তদারকির দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা আগেই জানিয়েছেন, পুরো নির্বাচনী এলাকার ২২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৬টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে আলাদা সতর্কতা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, আমরা সিসিটিভির মাধ্যমে এই কেন্দ্রগুলোকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করব। গাইবান্ধা নির্বাচনে অনিয়মের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছি। রংপুরে সমস্যা হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এখানেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
সবগুলো কেন্দ্রে মোট এক হাজার ৮০৭টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশেদা।
রিটার্নিং অফিসার আব্দুল বাতেন বলেছেন, প্রতিটি ভোটকক্ষে ইভিএমে সুষ্ঠুভাবে ভোট করার জন্য ইসির কারিগরি টিম প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহেরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রংপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার পর এটি তৃতীয় ভোট। সবশেষ ২০১৭ সালে ২১ ডিসেম্বর দলীয় প্রতীকে ভোট হয়।
এর আগে ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর নির্দলীয় ভোট হয়েছিল। ওই বছরের জুনে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হয় রংপুর। সূত্র : যুগান্তর