সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৫১ pm
সূর্যের পানে মুখ তুলে হাসছে সারি সারি সূর্যমুখী। যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ-সবুজের খেলা। তার ফাঁকে ফাঁকেই চোখে পড়ে জনাকতক পর্যটকের হাসিমুখ। এ দৃশ্য বাংলাদেশের। এ দৃশ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার। আর এই নয়ানাভিরাম দৃশ্য এবার নজর কাড়ছে গোটা বিশ্বের।
সোমবার চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়া বড়সড় একটি ফটো ফিচার প্রকাশ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সূর্যমুখী নিয়ে। একই প্রতিবেদন এসেছে দেশটিতে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি প্রকাশিত সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসের ওয়েবসাইটে।
এছাড়া দুবাইভিত্তিক আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা বিগ নিউজ নেটওয়ার্ক এবং মাইক্রোসফট করপোরেশনের মালিকানাধীন ওয়েব পোর্টাল এমএসএনের চীনা সংস্করণেও একাধিক ছবিসহ প্রকাশ করা হয়েছে ‘বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ফোটা সূর্যমুখী ফুল’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি।
শিনহুয়া তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, বাংলাদেশে সাধারণত [রান্নায়] সয়াবিন ও পাম তেল ব্যবহৃত হয়। তবে সেগুলোর মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এদেশে সূর্যমুখী তেলের ব্যবহার বাড়ছে।
রাজধানী ঢাকা থেকে ১০৯ কিলোমিটার পূর্ববর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। নাতিশীতোষ্ণ দেশগুলোতে এর চাষ ক্রমেই বাড়ছে।
জানা গেছে, এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী ফুল চাষ করেছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষি অফিসের তথ্যমতে, সদর উপজেলার বুধল, মজলিশপুর ও মাছিহাতা ইউনিয়নের অন্তত ৮০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে।ফুলগুলো এরইমধ্যে সৌরভ ছড়াতে শুরু করেছে। প্রতিদিনই আশপাশের এলাকা থেকে সৌন্দর্যপিপাসুরা দল বেধে ভিড় করছেন সূর্যমুখী দেখতে।তবে সূর্যমুখী শুধু রূপেই নয়, গুণেও অনন্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট মানের ভোজ্যতেল সূর্যমুখী, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড। ওমেগা ৬ ও ওমগা ৩ ফ্যাটি এসিড (লিনোলিক ও লিনোলেনিক এসিড) ও টেকোফেরলের (ভিটামিন ‘ই’) মতো গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেল। এর তেল শতভাগ উপকারী অসম্পৃক্ত ফ্যাটযুক্ত। নেই ক্ষতিকারক ইউরিক এসিড।
হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগীর জন্যও সূর্যমুখী তেল নিরাপদ ও খুবই উপকারী।