শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:১২ am
ডেস্ক রির্পোট : নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে চাচা-ভাতিজা এবং ভাই-ভাই ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। সংসার জীবনে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হলেও ভোটের মাঠে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। এমন স্বজনদের মধ্যে লড়াই নিয়ে ভোটারদের মধ্যে কৌতূহল থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, নাগরিক সমস্যা সমাধানে যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নেবেন ভোটাররা।
জানা যায়, ২নং ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান কাউন্সিলর আতাউর রহমান মৃধা ও তার ভাতিজা রেজাউল করিম মৃধা। অপরদিকে ৩নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক কাউন্সিলর ঈমান আলী ও নতুন প্রার্থী বাবুল মোল্লা। তারা সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।
পারিবারিক জীবনে একই গণ্ডির মধ্যে থাকলেও নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে একে অপরের ভুলত্রুটি তুলে ধরার পাশাপাশি পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা কৌশল প্রয়োগ করতে পিছপা হচ্ছেন না। তবে প্রার্থীরা নির্বাচনী আমেজে থাকলেও কিছুটা বেকায়দায় রয়েছেন তাদের স্বজনরা। তাদের অনেকেই আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রাখতে গিয়ে কোন প্রার্থীর পক্ষেই প্রকাশ্যে মাঠে নামতে পারছেন না।
২নং ওয়ার্ডের প্রার্থী রেজাউল করিম মৃধা বলেন, আমি গত নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলাম; কিন্তু সেবার আত্মীয়স্বজনরা সবাই মিলে বসে আমাকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে বলেন। ওই সময় আমার চাচা কথা দিয়েছিলেন যে তিনি পরবর্তীতে আর প্রার্থী হবেন না; কিন্তু এবার নির্বাচন এলে তিনি আর কথা রাখেননি। তাই বাধ্য হয়েই আমি চাচার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছি।
তবে চাচা আতাউর রহমান মৃধা বলেন, আমি আর নির্বাচন করবো না- এমন প্রতিশ্রুতি কখনো দেই নাই। গতবার জনগণের ভোটে আমি নির্বাচিত হয়েছি, এবারো জনগণের চাপে আমি প্রার্থী হয়েছি।
৩নং ওয়ার্ডের প্রার্থী বাবুল মৃধা বলেন, নির্বাচনের মাঠে আত্মীয়তার সম্পর্ক বড় বিষয় নয়, জনগণের ভালোবাসাটাই বড়।
অপর প্রার্থী ঈমান আলী বলেন, সম্পর্কে ভাই হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার সবারই রয়েছে। তবে ভোটাররা অতীতের মতো আমাকেই নির্বাচিত করবেন ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য, আগামী ২৯ ডিসেম্বর বনপাড়া পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র : যুগান্তর