শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:১৮ pm
দেশের প্রযুক্তিখাতে যেসব নারী উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন; তাদের অন্যমত সোনিয়া বশির কবির। সিলিকন ভ্যালিতে কাজ করেছেন দীর্ঘ ১৫ বছর। কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডেলের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। মাইক্রোসফটের বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান এবং লাওস শাখার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন।
মাইক্রোসফট ছেড়ে শুরু করেন নিজের প্রতিষ্ঠান এসবিকে টেক ভেঞ্চার এবং এসবিকে ফাউন্ডেশন। এছাড়াও ইউনাইটেড ন্যাশন গভর্নিং কাউন্সিলের বোর্ড মেম্বার এবং ভাইস চেয়ারম্যান তিনি। ইউনেস্কোর অধীনে মহাত্মা গান্ধী ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন ফর পিসের বোর্ড মেম্বার।
পাশাপাশি এফবিসিসিআইয়ের টেকনোলজি অ্যাডভাইজার এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে বোর্ড অব ট্রাস্টি হিসেবে আছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিশেষ সাক্ষাৎকারে জাগো নিউজের মুখোমুখি হয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তিখাতের সফল এ নারী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন খালিদ সাইফুল্লাহ্—
জাগো নিউজ: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারী দিবসের গুরুত্ব কী রকম?
সোনিয়া বশির কবির: আমার মতে, নারী দিবস হচ্ছে একটা ওয়েস্টার্ন কনসেপ্ট। আমাদের দেশে আমি নারীদের নিয়ে অনেক কাজ করি, ইয়াং জেনারেশনদের নিয়ে অনেক কাজ করি, তাদের জন্য নারী দিবস অথবা ইন্টারন্যাশনাল ওমেন্স ডে তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন না। দেখুন, এখন নারীরাও সবক্ষেত্রেই পুরুষদের সাথে কম্পিটিশন করছে। এমনকি প্রযুক্তি দুনিয়া- যেখানে নারীদের অংশগ্রহণ পূর্বে অনেক কম ছিল এখন সেখানেও নারীরা বেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমি যখন টেকনোলজি সেক্টরে ছেলেদের সাথে কঠিন কঠিন কম্পিটিশন করছি সেখানে ৩৬৫ দিনের একদিনকে নারী দিবস হিসেবে দেখা মানে মেয়েদেরকে ছোট করা হচ্ছে।
জাগো নিউজ: পেশাগত সেক্টরে বাংলাদেশের নারীরা এখনও পিছিয়ে রয়েছেন। এর কারণ কি? এর প্রতিকারের উপায় কি? সোনিয়া বশির কবির: দেখুন, নারীদের ক্ষেত্রে আমরা যদি মনে করি পড়াশোনা শেষ করেই সে খুব ভালো চাকরি করবে, লিডারশিপ পজিশনে আসবে, টপে উঠে যাবে এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে- আমাদের এই চিন্তাটা বদলাতে হবে। কারণ এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যেমন- ছোটবেলা থেকেই মেয়েরা ফ্যামিলির ডিসিশন মেকিং-এ কম কথা বলে, চুপ থাকে, তাদের মতামত বলতে লজ্জা পায়। ছোটবেলা থেকে এইভাবে বেড়ে উঠলে হয়ত বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি গিয়েও তারা পিছিয়ে থাকবে, কাজেও পিছিয়ে থাকবে। কর্পোরেট বেশিরভাগ মিটিং-এ দেখা যায় মেয়েরা কম কথা বলে, কারণ ছোটবেলা থেকেই তারা এভাবে গড়ে উঠেছে। তাই আমার মনে হয়, পেশাগত সেক্টরে নেতৃত্ব দিতে হলে পারিবারিক পর্যায় এবং কর্মক্ষেত্রে ডিসিশন মেকিং-এ অংশগ্রহণ করতে হবে। পরিবারে মেয়ে সন্তানদের এভাবেই গড়ে তুলতে হবে। সূত্র : জাগোনিউজ।