শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:০৩ am

সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ‘সমাবর্তন ব্যবসা’ কেন : নাদিম মাহমুদ

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ‘সমাবর্তন ব্যবসা’ কেন : নাদিম মাহমুদ

স্নাতক শেষ করেই উচ্চশিক্ষার জন্য আমাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হয়েছিল। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক কোনো সমাবর্তনে আমি অংশগ্রহণ করতে পারিনি। তবে দেশের বাইরে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি শেষ করায় দুটি সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার সুযোগ আমার হয়েছিল। এই সব সমাবর্তনে অংশ গ্রহণের জন্য আমাকে অতিরিক্ত একটি পয়সা দিতে হয়নি। এমনকি সনদ নেওয়ার জন্য একটি পয়সা দিতে হয়নি। বরং এই সব সমাবর্তনে অংশ নিতে গ্র্যাজুয়েটদের বাবা-মাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

অথচ এই সমাবর্তনে অংশ নিতে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ‘নিবন্ধন ফি’ নামে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক ধরনের ব্যবসা চালু করে রেখেছে। স্নাতক, স্নাতকোত্তর শেষ করে একজন শিক্ষার্থী যখন চাকরির আবেদনে ব্যস্ত ঠিক তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আনুষ্ঠানিক সনদ দেওয়ার নাম করে হাজার হাজার টাকা গ্র্যাজুয়েটদের কাছ থেকে আদায়ের ‘প্রথা’ চালু করে রেখেছে। ফলে এই সব সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার জন্য মোটা দাগের নিবন্ধন ফি জোগাড় করতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সেরা স্বাদ নেওয়া থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে।

এঁদেরই একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ওসমান গনি। ২৫ ডিসেম্বর প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বগুড়ার সোনাতলার দিনমজুর বুলু আকন্দের সন্তান ওসমান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ ৫৩তম সমাবর্তনের জন্য ৪ হাজার ৩০০ টাকা জোগাড় করতে না পারায় অংশ নিতে পারেননি। শুধু ওসমান নন, খোঁজ নিলে দেখা যাবে অনেক শিক্ষার্থীকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চাপিয়ে দেওয়া এই নিবন্ধন ফি জোগাড় করতে না পারায় বন্ধুদের নিয়ে একসাথে সনদ হাতে ফ্রেমবন্ধী হওয়া থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে। কিন্তু কেন আমাদের ছেলেমেয়েরা তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সুখকর স্মৃতি ধরে রাখতে কয়েক ঘণ্টার জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা গুনবে? বার্ষিক লাখ টাকা যখন সরকার মাথাপিছু ব্যয় করছে, ঠিক তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন তাঁদের কাছ সনদ দেওয়ার অনুষ্ঠানের নামে এই টাকা আদায়ের দোকান খুলে বসে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ ৫৩তম সমাবর্তনের জন্য গত ৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধকারের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানায় যায়, স্নাতকে ৩ হাজার, স্নাতকোত্তরে ৪ হাজার, পিএইচডির জন্য ৫ হাজার আর সান্ধ্যকালীনের স্নাতকোত্তরধারীদের জন্য ৭ হাজার টাকা কেবল নিবন্ধন ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর সাথে অতিরিক্ত তিন শ টাকা মূল সনদ উত্তোলনের জন্য গ্র্যাজুয়েটদের গুনতে হয়। সূত্র : প্রখম আলো

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.