শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৫৭ am
মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করা ব্যক্তিদের সাধারণভাবে রাজাকার বলা হয়। পাকিস্তানিদের সহযোগী আরও দুটি সংগঠন ছিল আলবদর ও আলশামস। পাকিস্তানিদের নানা অপকর্ম যেমন- হত্যা, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতো তারা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর এত বছর পেরিয়ে গেলেও এসব সংগঠনের সদস্যদের তালিকা করা হয়নি। এখনই এই তড়ান্বিত করা হোক।
যদিও এর আগে রাজাকারের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল সরকার। কিন্তু তুমুল বিতর্কের মুখে তা বাতিল করা হয়। এরপর মূলত পথ হারিয়েছে রাজাকারের তালিকা করার উদ্যোগও। স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা করার কোনো অগ্রগতির কথা জানাতে পারেননি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। তালিকা করার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংসদীয় উপ-কমিটির কাছেও পাওয়া গেলো না আশাব্যঞ্জক কোনো তথ্য। তাই এ সরকারের মেয়াদে স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা চূড়ান্ত হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে ২০১৯ সালে বিজয় দিবসের আগের দিন, অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বর রাজাকারের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় যাতে ১০ হাজার ৭৮৯ জনের নাম আসে । কিন্তু এ তালিকায় অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর ও ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপুসহ রাজশাহীর আরও দুই ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়। যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন বলে প্রমাণ রয়েছে। ফলে তালিকাটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় সারাদেশে।
সবশেষ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয় তালিকাটি। পরবর্তী সময়ে যাচাই-বাছাই করে আবারও তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়। এরপর প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হতে চললেও রাজাকারের তালিকা এখনো প্রকাশ হয়নি।
বিতর্কিত সেই তালিকার বিষয়ে তখন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, এ তালিকা আমরা প্রণয়ন করিনি, প্রকাশ করেছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমরা যা পেয়েছি তাই হুবহু প্রকাশ করেছি।
এদিকে রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। সবশেষ ৭ সেপ্টেম্বর ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২’ জারি করা হয়। মোমেন মেহেদী, সূত্র : জাগোনিউজ