রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৩০ am
ডেস্ক রির্পোট : কোনো জমিতে মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হতে সতর্ক করে দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের কোনো জায়গা মালিক ছাড়া নেই। প্রতিটি জায়গা ব্যক্তি মালিকানাধীন অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের অধীন। নিজেদের জায়গা ও জলাশয় পরিষ্কার করতে হবে। এ জন্য সাত দিন সময় দিচ্ছি। এরপর ডিএনসিসির ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাবে। মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
সোমবার রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনে কিউলেক্স মশার প্রকোপ-নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি এয়ারপোর্টের পার্শ্ববর্তী খাল, জলাশয় ও ডোবাগুলোতে মশার চাষ হচ্ছে। এগুলো সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য সংস্থার অধীন। জলাশয়গুলোতে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা। এই কচুরিপানা পরিষ্কার না করলে সিটি করপোরেশন থেকে যতই মশার ওষুধ দেই না কেন মশা নিধন সম্ভব না। সবাইকে নিজেদের খাল, জলাশয় ও ডোবা পরিষ্কার করতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব নিতে হবে।’
এসময় ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগকে সব সংস্থা ও হাউজিং সোসাইটিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে ১ জানুয়ারি থেকে নতুন বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্দিষ্ট করে একটি ক্যালেন্ডার তৈরির নির্দেশ দেন মেয়র আতিক।
মতবিনিময় সভায় সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য বিভাগসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধি এবং ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ডিএনসিসির মশক নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নানসহ ডিএনসিসির কর্মকর্তারা। সূত্র : দৈনিক বাংলা