শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:৪২ am
মো. শাকিল হোসেন (নিজস্ব প্রতিবেদক) নিয়ামতপুর :
নওগাঁর নিয়ামতপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলার নারী মুক্তির অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার স্মরণে ‘রোকেয়া দিবস’ পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার ৯ ডিসেম্বর সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার পূর্বে উপজেলা পরিষদের মেইন গেটে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিজা আকতার বিথির সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ।
উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার (অতিরিক্ত) আমেনা বেগম।
‘সবার মাঝে ঐক্য গড়ি, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আইয়ুব হোসাইন মন্ডল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রেসকাবের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সহসভাপতি জাবেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক জনি আহমেদ, জেলা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (ডিএসবি) নাজমুল হক ও উজ্জ্বল হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আলোচকগণ বলেন, মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নারীমুক্তি, সমাজ সংস্কার ও প্রগতিশীল আন্দোলনের পথিকৃত। বেগম রোকেয়া অগ্রসর মানসিকতা, দূরদর্শী চিন্তা, যুক্তিপূর্ণ মতামত তৎকালীন নারীসমাজকে জাগিয়ে তোলেন। বাঙালি মুসলিম নারীদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি সর্বদা পর্দার অন্তরালে থেকে নারীশিা বিস্তারে উদ্যোগ নেন এবং মুসলমান মেয়েদের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ সুগম করেন। সামাজিক নানা বিধি-নিষেধ, নিয়ম-নীতির বেড়াজাল অগ্রাহ্য করে আবির্ভূত হন অবরোধবাসিনীদের মুক্তিদূত হিসেবে। তিনি শিক্ষার মাধ্যমে নারীর মতায়ন এবং সামাজিক বৈষম্য দূর করে নারীর মর্যাদা সমুন্নত রাখার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
তাঁরা আরো বলেন, নারী-পুরুষের সমান অংশীদারিত্ব ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নারীসমাজকে দেশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে নারীর মতায়নকে নিশ্চিত করতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এলক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ ও বাল্যবিবাহ আইন-২০১৭। নারীর মতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
নারীর মর্যাদা, অধিকার ও স্বনির্ভরতা অর্জনে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তবেই বেগম রোকেয়ার আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ ও কর্ম আমাদের নারীসমাজের অগ্রযাত্রায় পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে- বেগম রোকেয়া দিবসে এই হোক আমাদের একান্ত প্রত্যাশা। আলোচনা শেষে ৫টি ক্যাটাগরিতে জয়িতাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। রা/অ