মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:২৪ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোরে হঠাৎ ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট অব পুলিশ ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে মোটরসাইকেল ধরপাকড় অভিযান শুরু করা হয়েছে। এতে চালক ও সাধারণ মানুষ হয়রানির কবলে পড়ে অর্থ খোয়া গেছে। আজ (১ ডিসেম্বের) বৃহস্পতিবার দুপুরে তানোর সদরের গোল্লাপাড়া বাজারস্থ প্রদীপ সরকার মার্কেটের সামনে শুধু মোটরসাইকেল আটক অভিযান শুরু হয়। ঘন্টা ব্যাপি এ অভিযানে প্রায় ২০টির মতো মোটরসাইকেল আটক করে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।
ভুক্তভোগি সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট অব পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম ও তানোর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত ওসমান গনির নেতৃত্বে একদল পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে মোটরসাইকেল আটক অভিযান শুরু করেন। এসময় নিবন্ধনকৃত মোটরসাইকেল চালিয়ে যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইমরান বিশ^াস। তখন তাকে থামিয়ে পেছনে পুলিশ কন্সটেবল উঠে মোটরসাইকেল থানায় নিতে বলেন। এতে ভয়ে তিনি মোটরসাইকেলটি থানায় নেন। এছাড়াও লাইসেন্স বিহীন বেশ কয়েকটি মোটরসাইল এভাবে আটক করে পুলিশ।
এবিষয়ে ইমরান বিশ^াস বলেন, তাঁর মোটরসাইকেলের কাগজপত্র সবই ছিল। কিন্তু অভিযানের সময় পুলিশ তা দেখেননি। পরে সন্ধ্যায় তিনি মোটরসাইকেল নেবার জন্য থানায় গেছেন। কিন্তু তাঁকে মোটরসাইকেল দেয়া হয়নি।
আরেক ভুক্তভোগি শামিম বাদল বলেন, তিনি তাঁর রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন দোকান থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে গোল্লাপাড়া বাজারে যাবার পথে পুলিশ তাঁর মোটরসাইকেল আটক করে থানায় নিতে বলে। পরে বিকেলে তিনি থানায় গেলে তার বিরুদ্ধে ৫ হাজার টাকার মামলা দিয়ে ডিজিটাল স্লিপ বা রশিদ ধরিয়ে দেন। ওই স্লিপ মোতাবেক উপায় এর মাধ্যমে জরিমানার টাকা দেয়া হলে তার মোটরসাইকেল ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এব্যাপারে তানোর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত ওসমান গনি বলেন, আমরা গোদাগাড়ীর ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে ছিলাম। তাঁরাই সব করেছে তাদের কিছু করার ছিল না বলে জানান তিনি। তবে, রাজশাহীর গোদাগড়ী ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট অব পুলিশ জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ হয়নি। এজন্য তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রা/অ