শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৫৪ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
দুদকের তালিকায় ১০০ ব্যক্তির সম্পদের পাহাড় গড়েছেন যারা আ.লীগ ১৪ দলীয় জোটের নেতা ও মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে ৭৫০ মামলা ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ
গোদাগাড়ীতে কমছে চারণ ভূমি, গো-খাদ্য সংকটে গৃহস্থ্ ও খামারিরা

গোদাগাড়ীতে কমছে চারণ ভূমি, গো-খাদ্য সংকটে গৃহস্থ্ ও খামারিরা

রবিউল ইসলাম মিনাল (নিজস্ব প্রতিবেদক) গোদাগাড়ী :

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কমে যাচ্ছে চারণ ভূমি। এতে গো-খাদ্য সংকটে গৃহস্থ্য ও খামারিরা। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জমি পতিত না থাকায় গো-চারণ ভূমি তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে সংকট দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উচ্চ মূল্যে খড়, বিচালি কিনে গো-খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে খামারি ও গৃহস্থদের।

এতে করে কৃষক ও গো-খামারিরা হিমশিম খাচ্ছেন। গবাদিপশু পালনে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের। অনেকে গো-খাদ্য সংকটের কারণে গরু ও ছাগল বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, মানুষেরা জীবন-জীবিকার তাগিদে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া পালন করেন। এসব গবাদিপশু খাদ্যের প্রধান উৎস চারণ ভূমির প্রাকৃতিক খাবার। জমিতে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ফসল আবাদ বেড়ে যাওয়ায় কমে আসছে গো-চারণ ভূমি। কমে যাচ্ছে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎস। গো-চারণ ভূমি সংকটের ফলে দেখা দিচ্ছে গো-খাদ্যের সংকট।

উপজেলার বোগদামারী গ্রামের লালু। তার নিজের সম্পদ বলতে তার রয়েছে ৫টি গরু। প্রতিবছর গরু বিক্রি করে সংসারের পুরো ব্যয় বহন করে থাকেন তিনি। এভাবে প্রায় দুই যুগ ধরে গবাদিপশু লালন-পালনের উপর নির্ভর করেই চলছে তার সংসারের প্রয়োজনীয় চাহিদাসহ সন্তানদের পড়ালেখার খরচ।

তবে, চারণ ভুমির অভাবে প্রাকৃতিকভাবে গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন ধরণের গো-খাদ্য হ্রাস পাওয়ায় চরম দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। পতিত জমির অভাবে কেনা গো-খাদ্যের উপর নির্ভর করে গো-খাদ্যের চাহিদা মেটানো কঠিন হয়ে পড়েছে লাল মোহাম্মদের মতো এনামুল ও করিমসহ অনেকের। এতে করে উপজেলার গবাদিপশু লালন-পালনের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো চরম বেকায়দায় পড়েছেন।

এমন পরিস্থিতিতে বাজার থেকে গবাদিপশুর খাদ্য কিনে গরু মোটাতাজাকরণ ও দুধ উৎপাদন করছেন তারা। তবে, সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছেন গো-খামারিরা। খামারি রেজাউল জানান, কয়েকদিন পরপরই গো-খাদ্যের মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে গবাদিপশু লালন-পালনে গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। দানাদার খাবারের মূল্য উর্ধমূখী এবং দুধের বাজার মূল্য কম হওয়ায় খামার টিকিয়ে রাখা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

আরিফ জানায়, বরেন্দ্র অঞ্চলে পতিত জমি না থাকায় পদ্মা নদীর বুকে জেগে উঠা চরে প্রাকৃতিকভাবে গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন ধরণের গো-খাদ্যের উপর নির্ভর করে গরু-মহিষ, ছাগল ও ভেড়া লালন পালন করতাম। গত কয়েক বছর থেকে পদ্মা নদীর বুকে জেগে উঠা চরে আবাদ হওয়ায় প্রাকৃতিকভাবে গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন ধরণের গো-খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। নিজেরাই গরু লালন-পালন করি। আমাদের সারা বছর গরুর দুধ ও গোবর বিক্রি করে কোনরকম সংসার চলে।

কিন্তু খাদ্য সংকটের কারণে গরু ও ছাগল নিয়ে বিপাকে আছি। খড়ের দাম আগের চাইতে অনেক বেড়ে যাওয়ায় গরু ছাগল প্রতিপালন আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

এব্যাপারে একটি স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চরাঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো গাছপালা কমে যাচ্ছে। আর এর প্রভাব পড়ছে প্রাণিকুলে। বিশেষ করে গবাদিপশু লালন-পালনের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোর জীবন-জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: সুব্রত কুমার সরকার জানান, মানুষের অন্যতম সম্পদ গবাদিপশু। প্রকৃতির উপর নির্ভর করে গাছপালা ও ঘাস খেয়ে এখানকার গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল বেড়ে ওঠে। চারণ ভুমি কমতে থাকায় বিকল্প হিসেবে উন্নত পদ্ধতিতে ঘাস চাষের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দানাদার খাবারের মূল্য উর্ধমূখী হওয়ায় গো-খাদ্যর সংকট মোকাবেলায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে বিনা মুল্যে উন্নতজাতের ঘাসের কাটিং দেওয়া হচ্ছে।

যে সকল গৃহস্থ ও খামারিদের জমি আছে তারা ঘাষ চাষ করে দানাদার খাবার কমিয়ে গবাদিপশুকে ঘাষ খাওয়ালে আর্থিকভাবেও লাভবান হবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা। রা/অ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.