শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৫৪ am
অনলাইনে ৩৬ শতাংশের বেশি মেয়েশিশু বন্ধুদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। ২৭ শতাংশের বেশি মেয়েশিশু পরিচিত বয়স্ক ব্যক্তি ও আত্মীয় এবং ১৮ শতাংশ অপরিচিত বয়স্ক ব্যক্তি দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। ঢাকা ও সাতক্ষীরায় ১৭৮ শিশুর ওপর বেসরকারি সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় এ জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। আসকের নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যারমা দত্ত। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রিগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইসপাব) প্রেসিডেন্ট এম এ হাকিম, জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা হিউম্যান রাইটস প্রোগ্রামের প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা অ্যান্ড্রু ম্যাকগ্রেগর।
আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ, লালমাটিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি ইউনিটের জেন্ডার বিশেষজ্ঞ নবকুমার দত্ত।
জাতীয় আইন কমিশনের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (শিশু অধিকার আইনবিষয়ক ফোকাল পারসন) ফারজানা হোসাইন, ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের নির্বাহী পরিচালক রোকসানা সুলতানা, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের পরিচালক (কর্মসূচি) নাসিমা আক্তার জলি।
‘অনলাইনে শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও আইনি পর্যালোচনা’ শীর্ষক এই জরিপে অংশ নেওয়া শিশুদের মধ্যে ৮২ জন ছেলে ও ৯৬ জন মেয়েশিশু ছিল। ২৩ শতাংশ মেয়েশিশু যৌন কনটেন্টের মুখোমুখি হয়েছে। ৪৬ শতাংশ অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব পেয়েছে। মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তার লক্ষ্যে তথ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরি করেছে সরকার।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, সরকার ৩০ হাজার পর্নো সাইট বন্ধ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউবের যেসব কনটেন্ট পর্নোগ্রাফি বা শিশু পর্নোগ্রাফি বলে মনে হয়েছে, সরকার তা ফেসবুক, ইউটিউবকে অবহিত করা মাত্র তারা তা বন্ধ করে দিচ্ছে। অ্যারমা দত্ত বলেন, তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের আলোকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে ভালো ভালো অ্যাপে অভ্যস্ত করতে হবে।
অনলাইন ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টিতে আইনগুলো সহজভাবে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার ওপর জোর দেন তিনি। সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, এখন একক পরিবারের সংখ্যা বেশি। অনেক অভিভাবক খোঁজ রাখেন না সন্তান মোবাইল ফোনে কী করে। অভিভাবকদের জন্য প্যারেন্টাল গাইড আছে, তারা সেসব অনুসরণ করতে পারেন।
অ্যান্ড্রু ম্যাকগ্রেগর বলেন, প্রযুক্তির বিকাশে ইন্টারনেট বড় আবিষ্কার হলেও কিছু মানুষ এর অপব্যবহারের মাধ্যমে শিশুদের যৌন নির্যাতন করছে, প্রতারণা করছে। আইনের প্রয়োগ ও সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি। তথ্যসূত্র : এফএনএস। আজকের তানোর