মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:২৬ pm
আব্দুস সবুর, তানোর :
রাজশাহীর তানোরে মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়ম আর নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের ঘটনায় তদন্তে এসেও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালের দিকে ধর্মমন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মাহবুর আলম ও রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্মাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত করে ঘটনার সতত্য পেলেও রহস্যজনক কারণে কোন কিছুই না করে চলে যান বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেন। ফলে তদন্তের নামে আইওয়াস করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিমত।
জানা গেছে, দেশের মানুষের মাঝে কোরআন, হাদিস ও ইসলামী জ্ঞান চর্চার জন্য বর্তমান সরকার প্রতিটি উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামী কালচার সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য বৃহৎ প্রকল্পটি গ্রহন করেন। সে অনুযায়ী তানোর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিগত ২০২০ সালের আগস্ট মাসে মডেল মসজিদ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ ওমর ফারুক চেধুরী।
মসজিদ নির্মাণের কার্যাদেশ পান রাজশাহীর ঠিকাদার আতিক হাসান। তিনি প্রথম থেকে নানা অনিয়ম তিন নম্বর ইটের খোয়া, নিম্মমানের বালি দিয়ে আরসিসি ঢালায়ের কাজ করছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে সতত্য পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজ বন্ধ করে দেন। এঘটনায় গত ৯ নভেম্বর বুধবার জাতীয় এক দৈনিক পত্রিকায় মডেল মসজিদ নির্মাণে ঘাপলা শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। এরই ভিত্তিতে সোমবার তদন্তে আসেন কর্তাকর্তারা।
স্থানীয়রা জানান, তিন নম্বর ইট খোয়া, সিমেন্ট, বালি ও জংধরা রোড দিয়ে আরসিসি ঢালায় করা শেষ। যে ঢালায় বন্ধ করে দিল। তারপরের দিন ওই ইটের উপরেই আরসিসি ঢালায় দেওয়া হল। কিন্তু তদন্তে এসে দেখে হালাল করে দিল কর্মকর্তারা।
এব্যাপারে ঠিকাদার আতিক হাসানের ০১৭১৬-৬৭৪৩৭ ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন দিয়ে তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি অন্য কাজে বাহিরে আছি। স্যারেরা তদন্তে গেছেন বলে এড়িয়ে যান তিনি।
রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২ ওয়েব সাইড থেকে সংগ্রহ করা নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানের ০১৮৮২১১৫২৯০ নম্বর মোবাইলে নম্বরে ফোন দেওয়া হলে শুধু ফরওয়াড লিখা আসে। পরে অন্য প্রকৌশলীর কাছে মোবাইল করে নম্বর চাওয়া হলে তিনি ০১৭৪৭৬-৪৩৭৭৭ মোবাইল নম্বর দেন। পরে তাতে ফোন দিয়ে তদন্ত বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরসিসি ঢালায় না তুলে কিভাবে তদন্ত হলো প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি এর বেশি কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান ।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথের মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে রিসিভ করেন নি তিনি।
প্রসঙ্গ, চলতি মাসের ৯ নভেম্বর বুধবার তানোরে মডেল মসজিদ নির্মাণে ঘাপলা শিরোনামে জাতীয় এক দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরই ভিত্তিতে উপ-সচিব ও গণপূর্ত রাজশাহী বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী তদন্তে আসেন। রা/অ