রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:০৮ am
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন। বললেন, এই আইনে গত পাঁচ বছরে গৃহবধূসহ প্রায় সাতশ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, লেখক মুশতাক আহমেদকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে গ্রেফতার করে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রেখে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রথমেই বলেছিলাম যে, এই হত্যাকাণ্ড রাষ্ট্রীয়ভাবে হয়েছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছি।
ফখরুল আরও জানান, এই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে প্রায় সাতশ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপনারা দেখেছেন—ইতিপূর্বেও শুধু সরকারের সমালোচনা বা কার্টুন বা লেখার কারণে পাঁচ বছরে গৃহবধূ থেকে শুরু করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি জানান, এই সরকার সম্পূর্ণ একটা অবৈধ সরকার, অনির্বাচিত সরকার। তাদেরকে জোর করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে এবং টিকে থাকার জন্য এই ধরনের সম্পূর্ণ গণবিরোধী আইন তৈরি করেছে।
এই আইনে গ্রেফতার সবার অবিলম্বে মুক্তি দাবি করে তিনি আরও বলেন, সেই আইনের মাধ্যমে, এই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে তারা জনগণের কথা বলার অধিকার, বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।
যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসানের পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোরতাজুল করীম বাদরু, সহসভাপতি আবদুল খালেক হাওলাদার, মোনায়েম মুন্না, কেন্দ্রীয় নেতা এসএম জাহাঙ্গীর, রফিকুল আলম মজনু, নুরুল ইসলাম নয়ন, গোলাম মাওলা শাহিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সূত্র : যুগান্তর। আজকের তানোর