সমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:২১ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, নাচোল : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কসবা ইউপির সোনাইচন্ডী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ওবাইদুর রহমানের ছেলে শহিদুল্লাহ বরকত ও নাচোল পৌর এলাকার তেল, মুদি ও বিএডিসি সার ডিলার তরিকুল ইসলামের মেয়ে সিমা খাতুনের বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, সীমা খাতুনের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ার পূর্বেই বিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে সম্পূর্ণ করা যাবে না মর্মে বর ও কনের অভিভাবকের নিকট মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি নাচোল উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির নাচোল এলাকা পরিচালক এবং সোনাইচন্ডী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ওবাইদুর রহমানের ছেলে নাচোল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক শহীদুল্লাহ বরকতের সঙ্গে নাচোল পৌর এলাকার তেল, মুদি ও বিএডিসির সার ডিলার তরিকুল ইসলামের মেয়ে নাচোল সরকারি খুরশেদ মোল্লা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সীমা খাতুনের বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাইমিনা শারমীন জানতে পেরে ১০ নভেম্বর তাঁর কার্যালয়ে বর ও কনের বাবাকে হাজির করলে বাল্যবিয়ের বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন। তবে, বাল্যবিয়ে চুক্তি করে আংটি পরানোর কথা স্বীকার করায় বর ও কনের বাবাকে মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে সম্পূর্ণ করা যাবে না মর্মে উভয়ের নিকট অঙ্গীকার নামাই স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো সতর্ক করে আইনের ধারা উল্লেখ করে বলেন, বাল্যবিবাহ আইন ১৯২৯ এর ১৯ ধারা অনুযায়ী কোন অভিভাবক ২১ বছর বয়সের নিচে পুরুষ বা ১৮ বয়সের নিচে কোন মেয়ের হয়ে বাল্যবিবাহের চুক্তি করলে তাঁর এক মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
এদিকে, সীমা খাতুনের একাধিক স্কুল বান্ধবী ও বর শহিদুল্লাহ বরকতের বাবার সহকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মেয়ের নানার বাড়ি নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ড সিংহরইল গ্রামের বাড়িতে রাতে গোপনে মেয়ের চাচাতো নানা ইউসুফ আলীর বিয়ে পড়ানোর কাজ সম্পন্ন করেছেন। আজকের তানোর