শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৫৪ pm
ডেস্ক রির্পোট : পাবনায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও ভাতাবন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. সাইফুর আলম বাবলু গং এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলার মুক্তিযোদ্ধা হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি।
রবিবার (০৬ নভেম্বর) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে মুক্তিযোদ্ধা বাবলু গং এর নানা কুকীর্তি, ষড়যন্ত্র ও হয়রানি হওয়া কথা তুলে ধরেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধ ডা. মেজর (অবঃ) মীর্জা মনসুর।
তিনি বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী প্রয়াত নাছিম সাহেবের শ্যালক অ্যাড. সাইফুল আলম বাবলু। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জেলার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে চাঁদাসহ নানা ধরনের হয়রানি করে আসছেন। সাইফুল আলম বাবলু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামের সাবেক আমীর মতিউর রহমান নিজামির ভাগনে।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার পায়তারা করছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট দাবিকৃত অর্থ তাকে প্রদান না করা হলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে মুক্তিযোদ্ধা গেজেট ও সনদ বাতিল করাচ্ছেন।
আবার তাদের সনদ পাইয়ে দেবার কথা বলে ভুক্তভোগিদের কাছ থেকে অনৈতিক অর্থ আদায় করছেন। এই অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা বাবলু কখনো জেলা ও উপজেলা ইউনিট কমান্ডের নেতৃত্বে ছিলেন না।
তিনি জেলার যে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন এদের বেশিরভাগই লাল মুক্তিবার্তা সহ অন্যান্য গেজেটে তাদের নাম অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধারা আরও বলেন, এই বাবলু ভারত থেকে ট্রেনিং না নিয়ে দেশে চলে আসেন। তিনি কখনো সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেনি। অথচ সম্মুখ সারির প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে হয়রানি করছেন।
আজ দীর্ঘ কয়েক বছর হলো এই বাবলুর কাছে হয়রানীর শিকার হয়নী জেলায় এমন মুক্তিযোদ্ধা পাওয়া যাবেনা। সে কিছু মুক্তিযোদ্ধা সাথে নিয়ে প্রকৃতি মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাদের ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন।
বিষয়টি উপজেলা ও জেলা প্রশাসন অবগত রয়েছেন। তবু আমাদেরকে বারে বারে যাচাই বাছাইয়ের নামে চিঠি দিয়ে হয়রানী করছেন।
তাই জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আর অপমান না করে বিষয়টি তদন্ত করে ষড়যন্ত্রকারী বাবলু ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
জেলার প্রায় ১০৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা বর্তমানে ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। এই হয়রানী ও ষড়যন্ত্রের মূল হোতা মুক্তিযোদ্ধা বাবুল। আমরা বাবলুর হাত থেকে নিস্তার চাই।
প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি বন্ধ ও ভাতা চালুসহ দোষিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনের সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম পানছেন, সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, অ্যাড. তোরাব আলী, অ্যাড. আজিজুল হক, কমিটির যুগ্ন আহবায়ক নাছির উদ্দিন, রেজাউল করিম রেজা প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনের সার্বিক ব্যববস্থাপনায় ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রবীন সাংবাদিক মানবাধিকার কর্মী আব্দুল জব্বার। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী অর্ধশত মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা।