সমবার, ২৩ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৩১ am

সংবাদ শিরোনাম ::
দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে ৯ জনের মৃত্যু ভারতীয় সঞ্চালন লাইনে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনছে সরকার ট্রাইব্যুনাল গঠন ও ৮ দফা দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন নাচোলে গুজব প্রতিরোধে মানববন্ধন অনুষ্ঠতি অনলাইনে সরব, মাঠে নীরব আ.লীগ তানোর প্রেসক্লাব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, প্রতিক বরাদ্দ ঢালাও মামলার কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে : আসিফ নজরুল মোহনপুরে আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত মসজিদের বিশেষ আদব ও শিষ্টাচার : হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী মোহনপুরে আ.লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সালাম গ্রেপ্তার, মিষ্টি বিতরণ দুদকের তালিকায় ১০০ ব্যক্তির সম্পদের পাহাড় গড়েছেন যারা আ.লীগ ১৪ দলীয় জোটের নেতা ও মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে ৭৫০ মামলা ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন
‘জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়ে গেছেন, আপস করেননি : লিটন

‘জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়ে গেছেন, আপস করেননি : লিটন

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সুযোগ্যপুত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের  সভাপতি মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জাতীয় চার নেতা তাদের নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ভক্তি, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা-আদর্শে অবিচল-অটুট ছিলেন, জীবন দিয়ে গেছেন কিন্তু আপস করেননি।

জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবি) আয়োজনে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র লিটন বলেন, সবচেয়ে বেশি রক্ত বিসর্জন দিয়ে স্বাধীন হওয়া বিশ্বের একমাত্র দেশ বাংলাদেশে। পাক হানাদারদের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রায় ত্রিশ লক্ষ মানুষ শাহাদাত বরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অথচ স্বাধীনতার চার বছরের মধ্যেই দেশদ্রোহীরা চক্রান্তের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সেদিন তারা নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নাম। কত বড় বিশ্বাসঘাতক হলে এই কাজটা তারা করতে পারে, যখন বঙ্গবন্ধু তাদের মুক্ত আকাশের নিচে স্বাধীনভাবে বিচরণের পথ করে দিয়েছিলেন। তাই এসব ঘাতকদের দেশে ফিরে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি আজ জোরদার হচ্ছে। আমরাও এই দাবি জানাই।

জেলহত্যার প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, দেশদ্রোহীরা বুঝতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পর এই চার নেতা দেশের হাল ধরবেন। তাই পরিকল্পিতভাবে চক্রান্তের নীল নকশা তৈরি করে জেলখানায় তাদেরকেও নৃশংসভাবে হত্যা করে দেশবিরোধী অপশক্তিরা। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন, তাই দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার দীপ্ত প্রতিজ্ঞার ফলেই আবার দেশ মাথা তুলে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখতে পেরেছে। এমনকি শেখ হাসিনার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠছে।

রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. অবায়দুর রহমান প্রামাণিক।

রাবি রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর দুলাল চন্দ্র বিশ^াস।
আলোচক প্রফেসর দুলাল চন্দ্র বিশ^াস তাঁর বক্তব্যে বলেন, জেল হত্যাকা-ে শহীদ জাতীয় চার নেতা ছিলেন সফল রাজনীতিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম কান্ডারী। শিক্ষাজীবনেও তাঁরা ছিলেন কৃতী। তাঁরা দেশকে ভালোবেসে, জাতির কল্যাণে রাজনীতির মাধ্যমে জনসেবায় নিজেদের নিবেদিত করেছিলেন। সেটাই কাল হয়েছিল। দেশপ্রেমের কারণেই তাদের জীবন দিতে হয়। তাঁদের আদর্শ হয়ে আছে অবিনশ্বর। সেই আদর্শ চর্চার মাধ্যমেই শহীদদের প্রতি যথাযোগ্য সম্মান দেখানো হবে।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির অন্যতম সহযোগী ছিলেন শহীদ জাতীয় চার নেতা। তাঁরা ছিলেন রাজনীতিতে মেধা ও আস্থার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে তাঁরা ছিলেন নিরলস। কোনো প্রলোভনেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির কল্যাণের আদর্শচ্যূত করা যাবে না জেনেই তাঁদের হত্যার মাধ্যমে জাতিকে নেতৃত্বশুন্য করার হীন প্রয়াস চালানো হয়। কিন্তু বাঙালি জাতির প্রতি তাঁদের অবিনাশী চেতনা আজও অবিনশ্বর হয়ে আছে বলেই আজ আমরা শ্রদ্ধার সাথে এই শহীদদের স্মরণ করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, শহীদ জাতীয় চার নেতার আদর্শই ছিল দেশপ্রেম ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যেই তাঁরা আজীবন কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নেতৃত্বে, তাঁরা ছিলেন সেই নেতৃত্বের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে। স্বাধীন বাংলাদেশেও আমরা দেখতে পাই তাঁদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ নেতৃত্বের ভূমিকায়। তাঁদের আদর্শই কাল হয়েছিল। আদর্শের কারণেই তাঁদের জীবন দিতে হয়েছে। জীবন দিয়ে তাঁরা বাঙালি জাতিকে ঋণী করে গেছেন। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.